ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করায় ওহাব আলী (৪০) নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নবাব আলী গংয়ের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৪জুন) সন্ধ্যায় জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট কুমারগঞ্জ এলাকার এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভগী ওই যুবক কুমারগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল গফুর এর ছেলে। আর অভিযুক্তরা হলো- একই এলাকার মৃত আব্দুল গফরের দুই ছেলে নবাব আলী (৫০), আবুল কাসেম (৩২), আনারুল ইসলামের স্ত্রী মকলেসা বেগম (৫৬) তাঁর ছেলে আহাদ আলী (৩৫), নবাব আলীর স্ত্রী গোলাপী বেগম (৩৫) ও আবুল কাসেমের স্ত্রী আসমিনা আক্তার (৩০)। তাঁরা একই এলাকার বাসিন্দা। এই এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেননি।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নবাব আলীর লোকজন জমির বিরোধে ওহাব আলীর পরিবারের ক্ষতিও ষড়যন্ত্র করে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবাব আলীর লোকজন ওহাব আলীর ভোগদখলকৃত জমি জবর-দখল করে এবং জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এসময় ওহাব বাঁধা দিতে গেলে নবাব আলী গং তাকে কিলঘুষিসহ বাশের লাটি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এবং নবাব আলী দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করার চেষ্টাকালে তাঁর বাম হাতের একটি আঙ্গুল জখম হয়। ওই অবস্থায় নবাব আলী ওহাবকে মাটিতে ফেলে বুকের ওপর পারা দিয়ে গলা চেপে ধরে হত্যার চেস্টা করে। আর আবুল কাসেম তাঁর মাথা-কানে জোরে আঘাত করে জখম করেন। পরে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করান।
এছাড়াও নবাব গং গেল বছরের ৪ ডিসেম্বর জমিজমাকে কেন্দ্র করে ওহাব আলী ও তার ৯ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুত্বর জখম কর। এবং নিজেরা বাঁচতে উল্টো ওহাব আলীর নামে মিথ্যা মামলা করেন তারা।
চিকিৎসাধীন মো: ওহাব আলী জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নবাব আলী ও তাঁর লোকজন আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁরা আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। উপস্থিত লোকজন আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র উচিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন। আর তাঁরা যে জমি দখল করে রাস্তা বন্ধ করতে আসে তা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গায়ের জোরে জোরপূর্বক আমার ক্রয়কৃত ও পৈত্রিক জমি দখল করে রেখেছেন। আর আমাকে দমিয়ে রাখতে তিনি আমার পরিবারের সদস্যদের উপরে অন্যায় ও নির্যাতন চালাচ্ছেন। আমি এর সঠিক বিচার ও প্রশাসনের কাছে তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নবাব আলী, আবুল কাসেম ও তাঁর গংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাস্তা বন্ধের কথা স্বীকার করেন। তবে ওহাব আলীকে মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply