‘গত ৫ আগস্ট জালিম সরকারের পতনের পর বিএনপি নামধারী কতিপয় নেতা যারা এতোদিন দলের কোন কর্মকান্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেনি। এমনকি দিবসগুলো পর্যন্ত পালন করেনি। তারাই নিজেদের অপরাধ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রম ধামাচাপা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেন্দ্রীয় বিএনপিতে অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। সেই সাথে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যারা এসব ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ অভিযোগ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলার তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,‘ আমার মামা মরহুম ইমরান আলী মোল্লা তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বংশীয়ভাবেই শহীদ জিয়ার আদর্শের সাথেই আমরা সরাসরি জড়িত। আমি বার বার ঢাকা-রাজশাহীতে পুলিশ ও আওয়ামী বাকশালী কর্তৃক মামলায় প্রেপ্তার হয়েছি এবং কারাবরণ করেছি। তানোর পৌরনির্বাচনে বার বার আমাকে প্রতক্ষ্যভাবে ফলাফল কেড়ে নিয়ে পরাজিত করা হয়েছে। তবুও বিএনপির একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। এমন কোন বিএনপির প্রোগ্রাম নাই যেখানে আমার উপস্থিতি ছিল না। প্রত্যেকটা জায়গায় আমার নেতৃত্বে তানোর উপজেলা ও তানোর পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। অথচ আমিসহ আমার কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলের কিছু নামধারী নেতা কেন্দ্রে অভিযোগ পাঠিয়েছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও মানহানিকর।
সংবাদ সম্মেলনে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধেও মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এবং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কখনোই কোন সময় আমাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অভিযোগ উপস্থাপন হয়নি। আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে কতিপয় কুচুক্রি মহল ঈর্ষাণ্বিত হয়ে জয়প্রিয়তাকে নষ্ট করতেই সাজানো মিথ্যা-বানোয়াট ও উদ্দেশ্যণোদিত অভিযোগ কেন্দ্রে উপস্থান করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা দঢ় কণ্ঠে বলতে পারি শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত কখনোই হইনি এবং আগামীতেও হবো না। বরং যারা অভিযোগ করেছে তারাই বিভিন্ন নৈরাজ্য, হাট-ঘাট দখল, বালু মহাল দখল, পুকুর দখল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও দখল দারিত্বের সাথে জড়িত। তাদের অপকর্ম ঢাকতেই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শাওয়াল, সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম বাবু, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সদস্য এ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
You cannot copy content of this page