রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার ২০ তারিখ বাঘায় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আবুল হাশেমের উপর মাদক কারবারিরা হামলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় মামলা হলেও আসামীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলা নিতেও করেছিলেন গড়িমসি।
এদিকে গতকাল শনিবার রাতে জেলার দূর্গাপুর উজান খলসির নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে দূর্গাপুর থানার নাশকতার মামলায় ফাঁসানো হয় সাপ্তাহিক অগ্রযাত্রা পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে।
বাঘার ঘটনায় জানা যায়, সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে সাংবাদিক আবুল হাশেম ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালায়। এঘটনা আবুল হাশেমের মাথায় ৫ টি ও তার বাবা সাজদার হোসেনের মাথায় ১২ টি সেলাই দেওয়া হয়। আসামীরা এখনো হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারকে। প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশের ভূমিকা।
দূর্গাপুরের ঘটনায় জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে দূর্গাপুর উজান খলসি এলাকার নাসির উদ্দিন মোল্লার ছেলে সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে মামলায় আসামী করা হয়। ওই নাশকতা মামলার এজাহারে তার নাম উল্লেখ ছিলো না। অজ্ঞাত আসামীর নামে তার নাম ঢুকিয়ে আদালতে চালান করা হয়।
জানা যায়, শুধুমাত্র এএসআই আমিনুলের কথায় তাকে আটক করা হয়। আমিনুল দীর্ঘদিন থেকে দূর্গাপুর থানায় কর্মরত। পুকুর খনন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে এএসআই আমিনুলের সঙ্গে ঝামেলা ছিলো শাহাবুদ্দিনের।
আটকের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে নাটক। আটকের পরে সদুত্তর দিতে পারেনি পুলিশ। কেনো তাকে আটক করা হলো ? এমনকি সেসময় ফোনও রিসিভ করেননি থানার ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ঘটনা দুটিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) রাজশাহী জেলা শাখা।
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি ঘটনায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটেছে। পুলিশ প্রতিহিংসা থেকে পৃথক দুটি ঘটনায় হামলার আসামী গ্রেফতার না করা এবং কারণ ছাড়াই সাংবাদিককে আটক করা হয়। এঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব ও রুর্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা শাখা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (এডিশনাল এসপি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবছি না। প্রতিহিংসাও করছি না। এটা আপনাদের ভুল ধারণা। সঠিক তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমরা কাউকে গ্রেফতার করছি না।
Leave a Reply