রাজশাহী নগরীতে ধারের টাকা প্রদানকৃত চেকের ডিজঅনার হওয়া মামলা থেকে রেহায় পেতে এবং দেনার চার রাখ টাকা পরিশোধ না করার পায়তারা করে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চেক জালিয়াতি মামলার আসামি মাহমুদা নাসরিন রুপা ও তার বান্ধবী লায়লা সুলতানা লিজার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত লাইলা সুলতানা লিজা (৪০) বোয়ালিয়া থানার হোসনীগঞ্জ এলাকার মৃত গোলাম হোসেনের মেয়ে। তিনি বিএনপি দলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ও প্রভাবশালী কর্মী। ভুক্তভোগী সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবারের দুই বোন সুষমা প্রামানিক ও সোনালী প্রমানিক। সুষমা প্রামানিক পরিবার ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সুষমা প্রামানিক ও তার বোন সোনালী প্রমানিক।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা বলেন, ঋণগ্ৰহীতা রূপা দেনার টাকা থেকে রেহাই পেতে কৌশলে নগর বিএনপি নেত্রী লাইলা সুলতানা লিজা কে দিয়ে আমাদের দুই বোনকে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন। লিখিত বক্তব্যে সুষমা প্রামানিক বলেন, বিএনপি নেত্রী লিজার বান্ধবী মাহমুদা রুপা আমার বোন সোনালী প্রামানিক এর কাছ থেকে গার্মেন্টস ব্যবসার নামে চার লাখ টাকা ধার নেয়। নগরীর আরডিএ মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটা গার্মেন্টস এর দোকান ছিল তার। দোকানের জন্য পণ্য কিনবে বলে চার লাখ টাকা ধার নেয় সে। ঋনের বিপরীতে এনসিসি ব্যাংক আলুপট্টি শাখার একটি চেক (যার নাম্বার এনসিসিবি- ৯৮৯২০০৭) জামানত হিসেবে সোনালী প্রামানিকের কাছে জমা দেয়। গত ১৯-০৬-২০১৯ ইং তারিখে উক্ত চেকটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখাতে নগদায়ন করতে গেলে তার একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেকটি ডিজঅনার করে। টাকা ফেরত চাইতে গেলে রুপা নানারকম টালবাহানা শুরু করে এবং তার বান্ধবী বিএনপি নেত্রী লিজাকে দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। অবশেষে দেনার টাকা থেকে পরিত্রান পেতে রুপার পক্ষ নিয়ে লিজা গত ২৮ অক্টোবর আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটিতে আসামি করা করা হয় তৎকালিন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহদাত হোসেন, তদন্ত ওসি সেলিম বাদশা ও এসআই নজরুল ইসলাম-সহ মোট ৫৫ জনকে। এদের মধ্যে আমাদের দুই বোনকেও আসামী করা হয়।
অভিযোগে তারা আরও বলেন, মামলার পর থেকে বিভিন্ন পরিচয়ে আমাদের ফোন দিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দিয়ে হেনস্থা করার চেস্টা করছেন। এঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় মাহমুদা নাসরিন রুপাকে বিবাদি করে একটি সাধারণ ডায়েরী করি। ডায়েরী নম্বর ২২০৮। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের উদ্যোগ নিলে বোয়ালিয়া থানার এএসআই হিমাংসু শাহা আমাকে সংবাদ সম্মেলন করতে নিষেধ করেন। থানাতে বসে দেনা পাওনার বিষয়টা মীমাংসা করে দেবার প্রস্তাব দেয়।
জানতে চাইলে এএসআই হিমাংসু শাহা বলেন, আমি লিজার জিডি তদন্ত করছি। যেহেতু সুষমার বিরুদ্ধে জিডি এ কারণে তদন্তের স্বার্থে তাকে ফোন দিয়ে ডাকা হয়েছিল। কোন মিমাংসার কথা বলা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে মাহমুদা নাসরিন রুপাকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে মামলার বিষয়ে লাইলা সুলতানা লিজা বলেন, মাহমুদা নাসরিন রুপা আমার বান্ধবী না। এছাড়া আমি কারও কাছে প্রভাবিত হয়েও মামলা করিনি। সুষমা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা মিথ্যা।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply