ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বেগুনবাড়ী ইউনিয়নে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোববার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘নতুন পাড়া সচেতন গ্রামবাসী’ ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানার মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের কথা শুনে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন।
তাঁরা জানান, ১৯৯২ সালের দিকে আবুল বাশারসহ কয়েকজন ব্যক্তির নেতৃত্বে ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে সেটি দাখিল মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয় এবং ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ দাখিল মাদ্রাসার অন্তর্ভুক্ত হলেও কাগজে-কলমে সেটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে রয়েছে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। সেখানে কোনো শিক্ষার্থী বা শিক্ষক নেই, এমনকি কোনো নির্ধারিত জায়গাও নেই।
গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘নতুন পাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে এলাকায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। জহিরুল ইসলাম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘কতিপয় ব্যক্তি সম্পূর্ণ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এই অস্তিত্বহীন মাদ্রাসাটিকে জাতীয়করণের জন্য আবেদন করেছেন। এটা শুধু বেআইনি নয়, বরং সরকারি সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধার চরম অপব্যবহার।’
ফারুক হোসেন নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছি, এই নামে এলাকায় কোনো মাদ্রাসা নেই। হঠাৎ করে জাতীয়করণের কথা শুনে কয়েকজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মাদ্রাসাটিকে জাতীয়করণের জন্য আবেদন করেছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply