নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা মহামারীর ভয়াল থাবায় বাংলাদেশ। করোনা আতঙ্কে কাপছে গোটা দেশ। গত ১৮ মার্চ থেকে সরকারের অঘোষিত লকডাউনে স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নানামুখী কর্মকান্ডে স্বস্তি পাচ্ছে জনসাধারন।
ঘরে বসে নেই ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।ঠিক এরকম বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নিবেদিত এক কর্মী সাদ্দাম হোসেন(জুয়েল)।করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে নিজ ইউনিয়নে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
করোনার প্রাদুর্ভাব ও তার পরবর্তী কার্যক্রম সম্বন্ধে জানতে চাইলে বিডি সমাচারের নিজস্ব প্রতিনিধি রাকিবুল হাসানকে তিনি বলেন,” বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় মানবতার কল্যানে নিয়োজিত। ছাত্রলীগ একটি অনুভূতির নাম।সেই ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি দেশের ক্লান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দেশের অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে দাড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ইতিহাসের সেরা সাহসী সন্তানেরাই ছাত্রলীগ করে। তিনি বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আর ছাত্রলীগ হচ্ছে সোনার মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান। তাই আজ মানবতার সেবায় সমগ্র বাংলাদেশের মাঠে, ঘাটে, পথে ছাত্রলীগ দেখে গর্বিত। ধন্যবাদ ছাত্রলীগের কোটি নেতাকর্মীকে। এমনিভাবেই মানবতার পাশে থেকে কাজ করে যাবে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ।
করোনা প্রতিরোধে ছাত্রলীগের ভূমিকা অনন্য। তখন গর্বে বুকটা ভরে উঠে। সমস্ত শরীরে শিহরণ জাগে এই ভেবে যে আমিও এই গর্বিত সংগঠনের একজন কর্মী। আমার বুকটা ভরে ওঠে যখন দেখি অসহায় ছিন্নমুল মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয়, বাংলাদেশে তো আরো অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠন আছে? তারা কোথায়? আজকেই কেবল মানবতার সেবায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগই একাই কাজ করছে। অথচ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও পারতো নিজেদের ঘরে আবদ্ধ রাখতে। ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতেই বসে থাকতে। কিন্তু আমরা তা করিনি,আমরা আছি এদেশের ১৮ কোটি মানুষের পাশে সাহসী যোদ্ধা হয়ে।ইনশাআল্লাহ এদেশের মানুষকে রক্ষা করতে শিক্ষা,শান্তি ও প্রগতি এই মূলনীতিকে সামনে রেখে আমরন লড়াই করে যাব।”
Leave a Reply