আমার তরুন চিকিৎসাকর্মীরা প্রায় প্রতিদিনই স্যোসাল মিডিয়ায় জানান দিচ্ছেন তারা যে মাঠে আছেন কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকরা??
আপনাদের প্রতি আমার কিছু প্রশ্ন ….
১।আমাদের দেশে কতজন অধ্যাপক,ইউনিট প্রধান নিয়মিত হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের Round দিচ্ছেন এবং এই তরুন চিকিৎসাকর্মীদের খোজ
খবর নিচ্ছেন?
কেন কভিড হাসপাতালে কোন সিনিয়র চিকিৎসক যারা কভিড specialist করোনা আসবেনা বলে গ্যারান্টি দিয়ে জাতিকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা সেইসব স্বনামধন্য অধ্যাপক কাউকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়নি ?
কভিড-১৯ -এ এখন পর্যন্ত কতজন সিনিয়র চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন?
২।বুঝলাম মানহীন পিপিই সীমাবদ্ধতা আছে আপনারা কি ব্যবস্থা করেছেন এদের জন্য? আপনারা চাইলে কি এটা জোগানদেয়া খুব কঠিন?
৩। আপনারা কি আপনাদের জুনিয়র চিকিৎসকরা কিভাবে পিপিই পরবে বা খুলে রাখবে সেটা সঠিকভাবে দেখিয়ে দিচ্ছেন ?Daily Demonastration এর কোন ব্যবস্থা করেছেন?
৪।আপনি কি আপনার তরুন চিকিৎসক যারা দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে তারা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে কিনা, হাসপাতালে কিভাবে আসছে, তার সংসার কিভাবে চলছে এই খবর একবারও নিয়েছেন?
৫।আপনি একবারও খবর নিয়েছেন কি আপনার ইউনিটে রোগী ভর্তির দিন কভিড এ আক্রান্ত আপনার সহকর্মীরা কেমন আছেন? কোথায় আছেন?কিভাবে সংসার চলছে? কিছু লাগবে কিনা?
— নাকি আপনিও তত্বাবধায়ক ,স্বাস্থ্য অধিদফতর আর মন্ত্রনালয়ের রুমে বসে খোশ গল্প করে গ্যারান্টি দিয়ে বেড়াচ্ছেন সব ঠিক আছে আর তরুণ চিকিৎসাকর্মীরা কোন কাজ করছে না বলে গোষ্ঠী উদ্ধার করছেন। মনে রাখবেন আপনাদের অবহেলার জন্য তরুন চিকিৎসাকর্মীরা মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে।
আপনারা রোগী দেখলে খোঁজ নিলে তরুনচিকিৎসকরা অনুপ্রানীত হয়, তাদের জড়তা ভয় কেটে যায়।আপনাদের উচিত মাঠে থেকে তাদের উৎসাহীত করা। আমি, আমরা তরুন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করছি। আপনি আপনারটা করছেনতো? (বি: দ্র: যারা পাশে আছেন তাদের জন্য নয়।)
(আস্রাফুল হক সিয়ামের ফেসবুক থেকে)
Leave a Reply