নড়াইলের লোহাগড়ায় মসজিদের ভিতরে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজের ছবি তুলতে নিষেধ করার জেরে দুবৃত্তদের অতর্কিত হামলায় মহিলাসহ তিনজন আহত হয়েছে। গতসোমবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করে। তবে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে ঈদের নামাজ পড়ার সময় মসজিদের ভিতরে ডুকে নোয়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম কালুর সমর্থিত মুকুল মোল্যা ও ফসিয়ার মোল্যা মোবাইলের মাধ্যমে ঈদের নামাজে ছবি তুলতে শুরু করে। উপস্থিত মুসল্লিরা মসজিদের মধ্যে ছবি তুলতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে মুকুল ও ফসিয়ার মসজিদ থেকে চলে যায়। নামাজ শেষ হওয়ার কিছু সময় পর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অসি, মাসুম, মুকুল, ফসিয়ার, তনু, মইনো, ইভান, জাকারিয়া, বাবলু মোল্যাসহ ২০-২৫ জনের একদল দূবৃত্ত আড়পাড়ার মনি মিয়া শেখ ও তবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুরের চেষ্টা করে। এতে আড়পাড়া গ্রামের মৃত ছবেদ মোল্যার ছেলে ফরিদুল মোল্যা (৪৫), একই গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমানের স্ত্রী বেলোকা বেগম (৬৫) ও মৃত আক্তার শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম (৬৫) আহত হন। এ ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ আড়পাড়া গ্রামের মো. তরিবুর রহমান ও মো. মনি মিয়া শেখকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আহত ফরিদুল মোল্যা লোহাগড়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় নোয়গ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম কালু মসজিদের মধ্যে গোলমালের কথা স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তাদের কোন অভিযোগ থাকলে থানায় জমা দিতে বলেন।’
এ বিষয় লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষই থানায় এসেছিলো, তবে বিষয়টি মিমাংশা হয়ে গেছে।’#
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply