1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বেকারি কারখানায় বিএসটিআইয়ের অভিযানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিএসটিআই’র অভিযানে ব্যাটারি পানি কারখানায় জরিমানা ও সিলগালা রাবি আন্ত:বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মনোবিজ্ঞান ঠাকুরগাঁওয়ে বিনামূল্যে মেডিকেল সেবা পেলেন ২শতাধিক মানুষ রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজে বিজয় দিবস পালিত ভূল্লী থানা পুলিশের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে বড়গাঁওয়ে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে জিংক ধানের সম্প্রসারণে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ

বেলকুচিতে পানির নিচে কৃষকের স্বপ্ন, ২৮শ’ বিঘা জমির ফসলের ক্ষতি 

সবুজ সরকার স্টাফ রিপোর্টার
  • সময় : রবিবার, ৩১ মে, ২০২০
  • ৪৬১ জন পড়েছেন

সবুজ সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উজান থেকে ধেয়ে আসা অকাল বন্যায় তলিয়েছে কৃষকের হাজার হাজার একর বোরো ধানসহ পাট, চিনা ও সবজির ক্ষেত। গত এক সপ্তাহে উজানের জেলাগুলোতে অসময়ে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট এই বন্যায় একই সাথে পানির নিচে ডুবেছে কৃষকের স্বপ্ন। এতে এ উপজেলায় প্রায় ২৮শ’ বিঘা আবাদি জমির বোরো ধান, পাট, চিনাসহ সাক-সবজির ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তরিঘরি করে ধান ঘরে তুলতে দ্বিগুন মুজুরি দিতে হচ্ছে কৃষকের। সরকারের সহায়তা চেয়েছেন প্রান্তিক কৃষক।

রবিবার (৩১ মে) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা তীরবর্তী এ উপজেলার বেলকুচি পৌরসভা, সদর, রাজাপুর ও বড়ধুল ইউনিয়ের প্রায় ২৮শ’ বিঘা জমির পাট, চিনা ও সবজিসহ পাকা ও অর্ধ-পাকা বোর ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবেছে।

কৃষকরা জানান, আর মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ধান গুলো কাঁটার উপযুক্ত হতো। কিন্তু সে সুযোগ আর হলো না। অতীতে আমাদের অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সম্প্রতি নিচু এলাকায় বোরো মৌসুমে ধান কাঁটার আগেই পানি চলে আসছে। ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের সহায়তা চেয়েছেন এসব প্রান্তিক কৃষক।

সদর ইউনিয়েনের সোরহাব নামের এক কৃষক বলেন, সারা বছর আমাদের ভাতের ব্যবস্থা হয় এই ফসল থেকে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই জীবিকা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। সেই চিন্তা আরো বেড়ে গেল।

বড়ধুল ইউনিয়নের আব্দুস সালাম নামের এক কৃষক জানান, আমাদের অনেকে কৃষি ঋণের মাধ্যমে চাষাবাদ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছিল। তাই ভেবেছিলাম, ঋণ পরিষোধ করতে পারব কিন্তু সে আর হলো না। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কি খাব সেই চিন্তায় আছি!

সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর্জা সোলায়মান হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার ইউনিয়ন এমনিতেই চর এলাকা, গরিব মানুষ বেশি। এসব গরিব মানুষের ধান অকাল বন্যায় ক্ষতি হয়ায় তাদের ঋণ দেয়া কষ্ট হবে। বন্যা পরবর্তীতে পনোদনা দেয়া দরকার।

বড়ধুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন বলেন, এ রকম ভাবে বন্যা হয় আগে কখনও দেখিনি। এ বন্যায় কারণে কৃষকরা অতিরিক্ত মুজুরি দিয়ে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছে।

ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল এই প্রতিবেলককে বলেন, হঠাৎ বর্ষা দেখা দেওয়ায় উপজেলাতে এ পর্যন্ত ২৮শ’ বিঘা জমির আবাদি ফসল পানিতে নিমর্জিত হয়েছে।  ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করে কৃষি অধিদপ্তরে প্রেরণ করবো। অন্যান্য বছরে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের সহায় করে আসছে। আশা করছি এ বছরে সরকার কৃষকদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখবেন। তাহলে কৃষকেরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তা অনেকটা পুষিয়ে উঠতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

কৃষকদের সহাযতার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান নুর  বলেন, আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে যে সকল কৃষক বর্নার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা তৈরি করছি।  তালিকা তৈরি কাজ শেষ হলে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর ফলে যদি কৃষকদের  কোন প্রনোদনা আসে তবে তা কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হবে।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page