হাকিকুল ইসলাম খোকনঃমো:নাসির,বাপসনিউজ:করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক হোম এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গভীর কোমায় আছেন বলে জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে কনক কান্তি বড়ুয়া তার প্রধান। তারা মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে শনিবার বিকেলে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠক করেন। খবর বাপসনিউজ।
বৈঠক শেষে কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, তার অবস্থা এ মুহূর্তে খুব আশঙ্কাজনক। তিনি কোনো সাড়া দিচ্ছেন না এবং এ মুহূর্তে গভীর কোমায় আছেন। শনিবার বিকেল মোহাম্মদ নাসিমের ব্যক্তিগত সহকারী আশরাফুল আলম মিন্টু জানান, বোর্ড মিটিংয়ে তাকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি জানান, মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা মোহাম্মদ নাসিমকে ৪৮ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখেন। এবার তা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করা হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার থেকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম।
বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় স্ট্রোক করায় অবস্থার অবনতি ঘটে।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় এবং অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রাজিউল হককে ফোন করে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজখবর নেন বলে বাসস জানায়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি তার। তবে ২০১৪ সালে পরের মেয়াদে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করে আসছেন নাসিম।
Leave a Reply