(শাহ্ হিরো খুলনা প্রতিনিধি)
সরকারের নির্দেশে যেকোন সংকটে বা দুর্যোগে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থেকে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে এসে সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের গৃহনির্মাণ, খাদ্য সরবরাহ, সুপেয় পানি, চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আম্পানে ধসে পড়া ৪৬০টি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে, ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ১৬টি পানি বিশুদ্ধকরণ মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মেশিনের সাহায্যে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের উপকূলে বেড়িবাঁধ নির্মাণেও সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা করবে। এছাড়া আম্পানের তাণ্ডবে ধসে পড়া বেড়িবাঁধের যে সমস্ত জায়গায় জরুরিভাবে মেরামত করা প্রয়োজন ইতোমধ্যে সেনাসদস্যরা সেসমস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজে সহযোগিতা করছেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতেও সেনাবাহিনী কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন করতে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিটি জেলায় গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে তা শুরু করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ের আগে সেনাপ্রধান সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা এসেছি। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা মানবিক কাজে এখানে এসেছি। অসহায় মানুষের পাশে যেন আমরা দাঁড়াতে পারি।
সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাপ্রধান হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে নামেন। পরে তিনি সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে প্রেস ব্রিফিং শেষে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আকাশপথে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন উপকূলবর্তী কয়রা এলাকা পরিদর্শনে যান। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও খুলনার কয়রা উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় ফেরেন।
Leave a Reply