1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে টাটা’র নতুন শো-রুম উদ্বোধন ধারের টাকা শোধ না করার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ান নারী ফুটবলারদের ফুলেল শুভেচ্ছা ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন কারখানা সিলগালা,বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভূল্লী থানার নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কে এ নিলয়ের চলচ্চিত্র ‘বউ’ এর শুভ সূচনা! লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তোলাই অন্তবর্তী সরকারের প্রধান কাজ – ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে ১ম আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

শিক্ষকতা ছেড়ে সফল খামারি কাইয়ুম

শামীম শিকদার
  • সময় : বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০
  • ৯৬৫ জন পড়েছেন

শুরু থেকেই স্বপ্ন ছিল একটি গবাদিপশুর খামার গড়ার। চার বছর আগে শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি সে স্বপ্নের পথে হাটা শুরু। স্বপ্ন পূরণের সঙ্গী হয়েছেন তার এক বন্ধু। নাম শামীম। নিজেদের জমানো টাকায় অল্প জায়গা নিয়ে ১৪টি গবাদিপশু নিয়ে সূচনা হয় দুই বন্ধুর খামারি হওয়ার স্বপ্ন। এখন শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে কাইয়ুম পুরোপুরি সফল খামারি। গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইকুরিয়ায় ১৫ বিঘা জায়গা নিয়ে গবাদিপশু পালন, খাদ্য উৎপাদন এবং সংরক্ষণ করে বাজারজাতকরনের কাজ করছেন তারা। ২০১৬ সালের শেষের দিকে গবাদিপশু পালন করলেও পরবর্তিতে গড়ে তোলেন গবাদিপশুর সবুজ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের খামার। নাম ইকোরিয়া এগ্রো।

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে গবাদিপশু মোটতাজাকরণে বাড়তি পরিচর্চা করছে শ্রমিকরা। ১৫ বিঘা জায়গা নিয়ে তাদের খামার। তার মধ্যে ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ এবং ৪ বিঘা জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করা হচ্ছে। প্রায় ১ বিঘা জায়গার উপর খামারটিতে ৩৫টি গবাদিপশু রয়েছে। তাদের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে চাষ করা ঘাস বাজারে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও সবুজ খাদ্য সংরক্ষণ করে পরবর্তী সময়ে বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। খামারে ২টি গয়াল বা পাহাড়ী গরু রয়েছে। যা গাজীপুরের মধ্যে একমাত্র তার খামারে আছে বলে জানান কাইয়ুম। এছাড়া কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশী গরুর সংখ্যাই বেশি। এখন প্রতিদিন খামারে ১০-১২ জন শ্রমিক কাজ করে। তবে নিয়মিত স্থানীয় একটি পরিবার গরুর পরিচর্চায় সময় দেয়। তাদেরকে মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রথমে উত্তরবঙ্গ থেকে গরু সংগ্রহ করা হলেও বর্তমানে স্থানীয় বাজার ও বিভিন্ন খামার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা। নিচ্ছে বাড়তি যতœ। কেউ ক্ষেত থেকে ঘাস কাটছে। আবার কেউ তা মেশিনের সাহায্যে টুকরো টুকরো করে কেটে খাবারের উপযোগী করে নিচ্ছে। খামারের ভিতরে উত্তর পাশে সংরক্ষণের জন্য মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছে গরুর সবুজ খাদ্য। যাকে বলা হয় সাইলেজ। যা সবুজ ঘাস পক্রিয়াজাত (অক্সিজেনশূণ্য) করে গারুর জন্য তৈরি বিশেষ ধরনের খাবার। আলো বাতাস না পেলে প্রায় ১০ বছর এ সবুজ খাদ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব বলে জানান। অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে মাংস। গত এক-দেড় মাসে উপজেলার মধ্যে ৮শ কেজি মাংস বিক্রি করা হয়েছে। পাশেই নদীর তীর ঘেষে রয়েছে নেপিয়ার ঘাস ক্ষেত। ঘাসের পাশাপাশি চাষ করা হচ্ছে কলা ও পেঁপে। করোনার কারণে গরু সংগ্রহে ভোগান্তিতে পরছে তারা। সর্বশেষ নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ এলাকা থেকে গরু সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন সেসব গবাদিপশু পরিচর্চায় সময় ব্যয় করছে। গত সপ্তাতে খামার থেকে বিক্রি করেছে ৯টি গরু। ব্যাবসায়ীরা খামারে থেকে গরু কিনে নিয়ে যায়। মাঝে মাঝে বাজার যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে গরুর হাটে।

গাজীপুরে কলেজের শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে খামার গাড়ার কারণ জানতে চাইলে আব্দুল কাইয়ুম বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে ভবিষ্যৎ আছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এখানে আসা। প্রথমে লোকশান হলেও এখন লাভ হচ্ছে। শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ান ও সিন্ধু জাতের গরু সংগ্রহ করব। খামারের পরিধি আরো বাড়ানোর কাথা ভাবছি। তবে উপজেলা থেকে তাদের জনবল সংকটের কারণে আমারা তেমন ভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না।

কাপাসিয়া, গাজীপুর

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page