মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,বেনাপোল(যশোর):- বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানে শুক্রবার(১৯ জুন) থেকে বানিজ্য সম্প্রসারনে সচল হবে বেনাপোল স্থলবন্দর। করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে সপ্তাহে অন্যান্য দিনের ন্যায় শুক্রবারও বাণিজ্য সচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন বেনাপোল।
বুধবার(১৭ জুন) দুপুরে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সাথে জড়িত ৫টি সংগঠনের উপস্থিতি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক- ইমদাদুল হক লতা বলেন, করোনার পরিস্থিতিতে প্রায় তিন মাস ধরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে বেনাপোল কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অন্যান্য দিনের ন্যায় শুক্রবারও সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম সচল রাখার বিষয়ে একমত পোষন করা হয়েছে।
তবে বেনাপোল বন্দরের সাধারণ আমদানি কারক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সপ্তাহে ৭ দিন বাণিজ্য সচল রাখতে হলে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো শুক্রবার খোলা রাখতে হবে। কারণ, পণ্য চালান খালাসের সময় এসব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি পণ্যের রাজস্বের টাকা ও পন্য ছাড়করনে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র লেন-দেন করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাংক গুলো বন্ধ থাকার কারনে বন্দর খোলা রেখেও ব্যবসায়ীদের খুব একটা লাভ হয় না।
উল্লেখ্য, যোগোযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দেশে স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা এবং রফতানি বাণিজ্য থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েে থাকে। বর্তমানে খাতা-কলমে বেনাপোল বন্দর সপ্তাহে ৭ দিনে ২৪ ঘন্টা কার্যক্রম চালুর কথা বলা হলেও শুক্রবারে বন্ধ থাকে। এছাড়া সরকারী ছুটির দিনও কোন কার্যক্রম হয় না। তবে এখন নতুন ঘোষনায় সপ্তাহে ৭ দিন বাণিজ্য চলবে বলা হচ্ছে।
Leave a Reply