মো: আ: হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃকরোনাকালীন সময়ে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালনের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম. এ করিম।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮মার্চ। এরপর থেকে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এ ভাইরাসের পূর্ব থেকেই মাঠ পর্যায়ে সংক্রামণ প্রতিরোধে অকুতোভয় সম্মুখ যোদ্ধা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম. এ করিম কে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব গত ১০ জুন সহকারী কমিশনার ভূমিকে এই অভিনন্দন জানান।
চিঠিতে এ্যাসিল্যান্ডকে উদ্দেশ্য করে সচিব বলেন, আপনি জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় জনপ্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও নাগরিকদের সহায়তায় করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে অবিরাম, অন্তহীন গতিতে, জীবন বাজি রেখে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা এক অনন্য ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে আপনার আওতাধীন কানুনগো, সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী/উপ সহকারী কর্মকর্তা, আপনার দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারীসহ অহোরাত্র করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, অসহায় ও সঙ্কটাপন্ন মানুষের ঘরে-ঘরে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়া, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
চিঠিতে এ্যাসিল্যান্ডকে আরও লেখা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে অবিশ্রান্ত ঝর্ণাধারার মতো আপনি কর্মচঞ্চল। আপনার প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের নিকট নিত্য নতুন সমস্যার তাৎক্ষণিক ও সহজ সমাধান সত্যিই বিস্ময়কর। নিজের পরিবার পরিজনের মূল্যবান জীবনের দিকে না তাকিয়ে , মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে কেবল জনগনের সেবা মানবতা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে অনন্য উদাহারণ সৃষ্টি করায় এ্যাসিল্যান্ডকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গত ১২ডিসেম্বরে যোগদান করে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণসচেতনতা সৃষ্টি, অসহায় ও সঙ্কটাপন্ন মানুষের ঘরে-ঘরে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়া, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর নিয়ন্ত্রণ, সরকারী নির্দেশনা অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় ৫১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১৩৩ মামলায় ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪০০টাকা জরিমানা আদায় সহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এছাড়া বিদেশফেরতদের ও করোনা রোগীদের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে ছুটে বেড়িয়েছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। উপজেলাবাসীকে করোনামুক্ত পরিবেশে আনয়নের লক্ষ্যে তার অবিরাম, অন্তহীন গতিতে, জীবন বাজি রেখে ছুটে চলা এবং যে ত্যাগ স্বীকার তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।।
Leave a Reply