ফেসবুকে পরিচয় অতঃপর প্রেমের সম্পর্ক,তারপরে হতে হয় অপহরণ।এমন টায় ঘটেছে প্রবাসীর স্ত্রী রিমা খাতুন (২৪) এর জীবনে।রিমা খাতুন যশোরের মনিরামপুর থানাধীন মহাদেবপুরের মৃত অমেদ আলী গাজীর প্রবাসী ছেলে হাফিজুর রহমান গাজীর স্ত্রী।এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান নিয়ে ভালোই কাটছিলো রিমা খাতুনের সংসার।
এমতাবস্থায় ফেসবুকের মাধ্যমে রিমা খাতুনের পরিচয় হয় মালয়েশিয়া প্রবাসী সোহেল রানার সাথে।সোহেল রানা বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা গ্রামের শাহ আলমের পুত্র। সোহেল দীর্ঘ দিন ধরে মালয়েশিয়া থাকে।
গত ০১/০৬/২০২০ খ্রিঃ রিমা খাতুন নিখোঁজ হয়। পরে এই সংক্রান্তে নিখোঁজ রিমা খাতুনের স্বামীর পরিবার মনিরামপুর থানায় গত ১০/০৬/২০২০ খ্রিঃ একটি নিখোঁজ জিডি করেন, জিডি নং-৩৬৬।
এক পর্যায়ে রিমা খাতুনের পরিবার জানতে পারেন রিমা খাতুনকে প্রবাসী সোহেল রানার নির্দেশে তার আপন ছোট ভাই জুয়েল আহম্মেদ ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে মাইক্রোবাস যোগে এসে যশোর মনিরামপুর থানাধীন মহাদেবপুরের অবস্থানরত রিমা খাতুন কে নগদ ৩৬,০০,০০০/- (ছত্রিশ লক্ষ) টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকারসহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে।
পরবর্তীতে নিখোঁজের পরিবার মনিরামপুর থানায় গত ১৬/০৬/২০২০ খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৩০ তৎসহ ৪০৬/৪২০/৪১৭ পেনাল কোড রুজু করে, মামলা নং-১১।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম) মামলাটির তদন্তভার ডিবির কে ন্যাস্ত করেন। মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সোমেন দাশ গ্রহণ করেন এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে আসামী এবং ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করেন।
যশোর জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (পিপিএম) এর নির্দেশক্রমে গত ২৫/০৬/২০২০ খ্রিঃ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকার সময় জনাব মারুফ আহম্মদ অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার, যশোর এর সার্বিক তত্বাবধায়নে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সোমেন দাশ এর নেতৃত্বে ডিবি’র একটি চৌকস টিম বগুড়া জেলার ধনুট থানাধীন ধামাচামা নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।এসময় অপহৃত ভিকটিম রিমা খাতুনকে উদ্ধার ও আসামী ১।জুয়েল আহম্মেদ, ২।আলমগীর হোসেন, ৩।মোঃ মামুন-উর-রশিদ কে গ্রেফতার করে। একই সাথে নগদ অর্থ ১৬,০০,০০০/- (ষোল লক্ষ) টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়,ফেসবুকে পরিচয় হয়ে ভিকটিম রিমা খাতুনের ছবি নিয়ে বিকৃত করে তার প্রবাসী স্বামী হাফিজুর ও তার পরিবারের লোকজনের নিকট প্রকাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে ১লা মে ৩লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।এরপর সোহেলের ভাই জুয়েল এবং অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে রিমা খাতুনকে ৩৬ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে আটক রাখা হয়।এ ঘটনায় ভিকটিম এবং আসামীদ্বয় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদাণ করেছে।
Leave a Reply