এম কে এস মিলু:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে মানুষ। করোনার মরণ থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষসহ চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতরা।
এমন পরিস্থিতিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ভিজিটর ও পরিবার কল্যান সহকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের কর্মকান্ডকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
জানা যায়, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার ভরসাস্থল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। বর্তমান সরকারের নানাবিধ উন্নয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে রয়েছে একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ভিজিটর ও পরিবার কল্যান সহকারীসহ প্রয়োজনীয় লোকবল। প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা সেবা শেষে দেয়া হয় প্রেসক্রিপশন ও সরকারিভাবে সরবরাহকৃত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি রয়েছে জেনেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সব ধরনের রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ভিজিটর ও পরিবার কল্যান সহকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১টি, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৮টি রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত রয়েছে মোট ৮৩ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ভিজিটর ও পরিবার কল্যান সহকারীরা।
মাধাইনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসা রোগীরা জানান, গ্রামে স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকলে বিনা চিকিৎসায় তারা নানা রোগে আক্রান্ত হতেন। এখানে আসলে ডাক্তাররা তাদের যতœ সহকারে চিকিৎসা দেন। ডাক্তারের দেয়া ওষুধ খেয়ে তারা ভালো হয়েছেন এবং আবারও দেখাতে এসেছেন।
মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে আমরা ২৪ ঘণ্টা গ্রামীণ পর্যায়ের প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সরকারের নির্দেশনায় আমরা সকলে সব সময় কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু কষ্ট পাই যে আমাদের কর্মকান্ড কেউ তুলে ধরছে না। আমরা কেউ পিছিয়ে নেই, জীবন বাজি রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং করোনা যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. খন্দকার আরিফুজ্জামান (বিসিএস) বলেন, এ দুর্যোগে আমাদের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিটি গ্রামে যারা বহিরাগত রয়েছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ও নিশ্চিত করছেন। তাছাড়া করোনাকালীন এই সময়ে যে অযথা গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে পরার্মশসহ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
Leave a Reply