শামীম মিয়া,
মির্জাপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ৬ বছরের ১ শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে শ্যালক ও দুলাভাইকে আটক করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আন্ধরা গ্রামের অমৃত মণ্ডলের মেয়ের জামাতা পলাশ রায় (৩৫), অমৃত মণ্ডলেরই ছেলে সঞ্জয় মণ্ডল (২৩)।আটক দুইজন সম্পর্কে শ্যালক- দুলাভাই।
এই ঘটনাটি গত (২৯ জুন) উপজেলার আন্ধারা গ্রামে ঘটলেও শিশুটির বাবা এ নিয়ে গত (১ জুলাই)বুধবার মির্জাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং পরবর্তীতে ওই দিনই এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
থানায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিশু কণ্যার বাবা একজন গাড়ি চালক ও মা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চাকরি করেন। ঘটনার দিন প্রতিদিনকার মতো সকাল বেলা তারা কর্মস্থলে চলে গেলে দুপুরের দিকে নির্জন বাড়িতে ওই শিশুকে একলা পেয়ে ধর্ষন করে পলাশ মণ্ডল।এতে সহযোগিতা করে তারই শ্যালক সঞ্জয়। সে সময় শিশুটির ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় পলাশ ও সঞ্জয়। বর্তমানে মেয়েটি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযুক্তদের আটকের পর বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ঘটনাটি থানা-পুলিশ পর্যন্ত আসার আগে এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ছিলেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, ঘটনার পর থেকে স্থানীয় কয়েক জন আমাকে এই ঘটনা নিয়ে আপোষ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তাই থানায় মামলা করতেও বিলম্ব হয়েছে। ধর্ষকরা গ্রেপ্তার হয়েছে। যারা এই ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে আমি তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে আরেকটি মামলা করেছি। আমি এই ঘটনায় জড়িত সবারই উপযুক্ত শাস্তি চাই।
মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন (পিপিএম) বলেন, এ ঘটনায় করা অভিযোগটি আমরা মামলা আকারে নেওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply