মো: আ: হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের থলঘাট হতে ইদিলপুর বাজারের যাতায়াতের রাস্তার খুবই বেহাল দশা। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ভিশন/২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশে শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামের রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন এবং বেকারত্ব দুরীকরণ সহ আরও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অলিগলি, রাস্তাঘাট প্রায়ই পাঁকা হয়ে গেছে। সারা বাংলাদেশের ন্যায় মধুপুর উপজেলাতেও সেই উন্নয়নের ছোঁয়ায় আজ আলোকিত হয়েছে। অথচ আজও পর্যন্ত কোন প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ইদিলপুরে যাতায়াতের এ রাস্তার। থলঘাটের এ রাস্তায় উপজেলার চারিদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন হতে তিনটি পাঁকা রাস্তা এসে এই থলঘাটে মিলিত হয়েছে। থলঘাট হতে মধুপুর পৌর শহরের রাস্তা, কুড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তা, মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার রাস্তা এবং থলঘাট থেকে ইদিলপুর বাজার হয়ে যানজট মুক্ত অল্প সময়ে ঢাকা যাওয়ার রাস্তা। যে রাস্তাটি একদিকে ভালুকা এবং অন্যদিকে সখিপুর হয়ে চন্দ্রার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আজ অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। রাস্তার সাথে ফসলের জমি মিলে সমতল ভুমিতে পরিনত হয়েছে।বৃষ্টির পানি জমে বহুদিন যাবৎ পথচারীদের যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। এ রাস্তাটিতে আজও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি পড়েনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। অথচ এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
কিন্তু এসব রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে হবে যে, এটা একটা ধানের জমি যা ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এ এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে যেতে দুটি করে ড্রেস সাথে করে নিতে হয় নতুবা আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্য তিন কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে গিয়ে স্কুল ধরতে কষ্ট সাধ্য হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি, বহু পুরনো এই রাস্তাটি খুব দ্রুত সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply