হাকিকুল ইসলাম খোকন ,মো :নাসির,হেলাল মাহমুদ,বাপসনিউজ:ছয়দিন পর সাগরে ভেসে উঠল প্রবাসী বাংলাদেশি জাবেদ ইকবালের (২৪) লাশ। পরিবারের সঙ্গে নিউজার্সিতেই থাকতেন তিনি। একটা সময় তার পুরো পরিবার নিউইয়র্কে থাকত। বাড়ি ক্রয় করার পর তারা চলে যান নিউজার্সি। খবর বাপসনিউজ।গত ১২ জুলাই জাবেদ ইকবাল তার ভগ্নিপতি ওসামা, বোন এবং ভাগনীসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য বিকেলে সাগর পাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। জাবেদ ইকবাল, তার ভগ্নিপতি ওসামা, তার ভাগনী এবং ছোট বোন সাগরে নেমেছিলেন। তারা কোমর পানি পর্যন্ত নেমে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে বিশাল একটি পানির ঢেউ এসে তাদের টেনে নিয়ে যায়।
ভাগনি এবং ছোট বোন নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও জাবেদ ইকবাল এবং ওসামা তাদের রক্ষা করতে পারেননি। জাবেদ ইকবাল এবং ওসামা পানির ঢেউর সাথে চলে যান। ওসামাকে বেহুশ অবস্থায় নৌকায় থাকা কিছু মাছ শিকারি উদ্ধার করে। ওই সময় তিনি বেহুশ ছিলেন।
কিন্তু জাবেদ ইকবালকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। জাবেদ ইকবালের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তার বড় ভাই নিউজার্সি সাউথ মুনার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল পুলিশে রিপোর্ট করেছিলেন। পুলিশ ইকবালের হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পোস্টার আকারে বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে রাখে।
১৯ জুলাই একদল মাছ শিকারি একটি লাশকে সাগরের পাড়ে দেখে এবং পুলিশে কল দেয়। পুলিশ এসে জাবেদ ইকবালের লাশ তুলে নিয়ে যায় এবং ওইদিন দুপুরে তার পরিবারকে খবর দেয়।
পরে তারা চিহ্নিত করেন এটাই জাবেদ ইকবালের লাশ। জাবেদ হারিয়ে যাবার পর মুনার কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক থেকে নিউজার্সিতে জাবেদ ইকবালদের বাসায় গিয়েছিলেন। মুনার কর্মকর্তা নাঈম উদ্দিন জানান, পরিবারের তরুণ সদস্যকে হারিয়ে তারা বাকরুদ্ধ। একটি টগবগে তরুণ এভাবে হারিয়ে যাবে তারা তা ভাবতেও পারেনি।
হারিয়ে যাওয়ার ৬ দিন পর জাবেদ ইকবালের আত্মীয়রা মর্গে গিয়ে তার শনাক্ত করে। এদিকে গত ২১ জুলাই জাবেদ ইকবালের নামাজে জানাজা ব্রুকলীনের বায়তুস শরফ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মুনার প্রেসিডেন্ট মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।
জানাজায় কমিউনিটির সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে জাবেদ ইকবালের লাশ গ্রেটার নোয়াখালি সোসাইরি লংআইল্যান্ডস্থ ওয়াশিংটর মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য, জাবেদ ইকবালের দেশের বাড়ি নোয়খালির চাটখিলে।
Leave a Reply