সোহেল রানা,যশোর প্রতিনিধিঃযশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নন্দী ডুমুরিয়ার গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ কহিনুর বেগম বহুদিন যাবৎ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। বিগত দুই বছর আগে তার একটি পা গেংগ্রীন রোগে আক্রান্ত হলে অপারেশনের মাধ্যমে হাঁটুর নিচ থেকে কেঁটে ফেলা হয়।
পরবর্তীতে পায়ের ক্ষতস্থানে বাসা বাঁধে মরন ব্যাধী ক্যান্সার।এ অস্থায় তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর অর্থ।প্রথম অবস্থাতে তার চিকিৎসার টাকা কোনভাবে জোগাড় করা গেলেও পরবর্তীতে আর খরচ যোগানে সম্ভব হচ্ছেনা তার।এমতাবস্থায় খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন কহিনুর।
গেল ঈদে কহিনুরের দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে আবু তোরাব যুব সংঘের ঝিকরগাছা ইউনিটের ‘জাগো নারী_জাগাও সমাজ’-প্রোজেক্টের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ সাজেদা খাতুন সংগঠণের পক্ষ থেকে কহিনুরের বাড়ি উপস্থিত হন।
তিনি কহিনুরের সাথে কথা বলেন এবং আবু তোরাব যুব সংঘের চলতি ঈদ উপহার বিতরণ প্রোজেক্টের থেকে তাকে ঈদ উপহার ও চিকিৎসার জন্য কিছু নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।কহিনুরের দুর্বিষহ জীবনযাপনের চিত্র মিডিয়াতে তুলে ধরার ব্যাপারেও সাজেদা খাতুন কহিনুর বেগমকে আশ্বাস দেন।
সাজেদা খাতুনের সূত্রে জানা যায়,কহিনুর বেগমের স্বামীঃ জায়েদ আলী খুব টানা পোড়েনের মধ্যে দিয়ে তার স্ত্রী ও সংসার পরিচালনা করছেন।এলাকাবাসি কিছু সাহায্য সহযোগিতা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।
কহিনুর বেগমের স্থায়ী ঠিকানা গ্রামঃ নন্দী ডুমুরিয়া,ঝিকরগাছা,যশোর।পোস্টঃবায়সা চাঁদপুর।তিনি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
কহিনুরের দাবি তার চিকিৎসা সহায়তা এবং একটা কৃত্রিম পা পেলে তিনি তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।মিডিয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহোদয়ের নিকট তিনি সাহায্যের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
আবু তোরাব যুব সংঘের উপদেষ্টা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, সারাজীবন অর্থের পিছনে না ছুটে নিজেদের আয়ের একটি অংশ এই সমস্ত অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে মানবসেবায় এগিয়ে আসা উচিৎ।
তা না হলে সমাজ থেকে অতি দ্রুত মানুষের প্রতি মানুষের মায়া মমতা উঠে যাবে।আমি আবু তোরাব যুব সংঘের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশ ও দেশের বাইরের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যে কামনা করছি।
Leave a Reply