নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিনা কারণে চোর সাজিয়ে পুলিশ ও মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ধরার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা গ্রামের চুন্নু শেখের ছেলে মো. আরমান শেখ ওরফে মান্না (২৪) ২১ জুলাইয়ের দুই দিন আগে কাশিয়ানী থানার সন্ধ্যা বাজারে টিউবয়েল স্থাপনের কাজে যায়। ওই দিন কুমার ডাঙ্গা গ্রামে মান্নার আপন ফুফু আফরোজা বেগমের একটি লাল রং এর বকন গরু চুরি হয়। এর কয়েক দিন পর ইতনা গ্রামের নান্নু শরীফেরও একটি গরু চুরি হয়। ওই চুরির ঘটনার ৪ দির পর নড়াইল সদর থানার সড়াতলা গ্রাম থেকে চুরাই গরুসহ ৪জন চোর আটক হয়। তাদের মধ্যে একজন কুমারডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামের জাফর শেখের ছেলে জাবের শেখ (২৪) ছিল।
এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার আইও এসআই অনিল মুখার্জি আসামি জাবেরকে মো. আরমান শেখ ওরফে মান্নার নাম বলতে শিখিয়ে দেয়। আসামি জাবের অন্যায় ভাবে তাকে মামলায় জাড়াতে রাজি হয়নি। সে জন্য এসআই অনিল মুখার্জি তাকে বেদম মারপিট করে বলে অভিযোগ করে জাবের। এ ঘটনা এলাকায় ছড়ায়ে পড়লে কুমারডাঙ্গা গ্রামের টাউট মাতব্বরদের মধ্যে আবুতালেব শেখ (৫৫), দাউদ শেখ (৬৫), ইমদাদুল শেখ (৪০), জাকির শেখ (৩৫), রিয়াজ শেখ (২০)অন্যায় ভাবে লাভবান হয়ার জন্য নিজেরা শলা পরামর্শ করে আরমান শেখ ওরফে মান্নাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে। সংবাদ পেয়ে আরমান শেখ ওরফে মান্না বাড়িতে এসে বিষয়টি উল্লিখিত মাতব্বরদের নিকট জানতে চাইলে মাতব্বরগণ তাকে জরিমানার টাকা দিতে উল্টে চাপ দেয়। সে আরও জানায়, এ টাকা থেকে এসআই অনিল মুখার্জিকে ভাগ দিতে হবে। আর টাকা না দিলে তাকে এসআই অনিল মুখার্জি মিথ্যা মামলা দিয়ে ও পিটিয়ে শায়েস্তা করবে।
এ বিষয়ে মো. আরমান শেখ ওরফে মান্না নড়াইল পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এ বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply