প্রবাসী ডেস্কঃ করোনাকালীন মালেয়শিয়ায় অভিবাসী নিপীড়ন নিয়ে আলজাজিরায় সাক্ষাতকার দিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন বাংলাদেশী যুবক রায়হান কবীর। পরবর্তিতে মালেশিয়া সরকার তাকে গ্রেফতার করে।
দেশী বিদেশী নানান মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার হয় রায়হান কবীরের মুক্তির বিষয়ে।
প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউ বি ও) এবং অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা) এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং মালেশিয়া প্রধানমন্ত্রি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রি, পররাষ্ট্রমন্ত্রির সাথে যোগাযোগ করে রায়হান কবীরের আশু মুক্তির জন্য জোড় দাবি জানান। তাছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থ্যা, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থ্যা(আই এল ও) , আন্তর্জাতিক মাইগ্রেশন সংস্থ্যা (আই ও এম), ইউরোপীয় ইউয়িন হেড কোয়ার্টার এবং প্যারিস্থ্য মালেয়শিয়া দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেন।
এছাড়াও রায়হান কবীরকে মুক্ত করতে বিখ্যাত ফরাশী আইনজীবি ফিলিপ সিমনেকে নিয়োগ দেন। ডব্লিউ বি ও এর সভাপতি এবং আয়েবা মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ গত ২৮ জুলাই ফিলিপ সিমনে এবং প্রশাষনিক কর্মকর্তা জানা মার্টিনকে সাথে নিয়ে এক ঘোষনায় বিষয়টি সবার নজরে আনেন এবং রায়হানকে মুক্ত করতে যাবতীয় কার্যক্রমের পক্রিয়া তুলে ধরেন।
এরই ধারাবাহিকতায় অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করা হয় ডব্লিউ বি ও এবং আয়েবার পক্ষ থেকে। কাজী এনায়েত উল্লাহ লিখিত বক্তব্যে বলেন রায়হান গনমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে কোন ধরনের অন্যায় করে নি। সুতারং কোন আইনেই রায়হান কবীরকে আটকানো সম্ভব নয়। তাছাড়া রায়হান প্রমান করেছে সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলে। রায়হান একা নয় আমরা রায়হানের পাশে আছি।
মালেয়শিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে কোন বিদেশী আইনজীবির কার্যক্রম করার আইন না থাকায় আয়েবার আইজীবিসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায় তবে তারা আশ্বস্থ্য করেন অচিরেই রায়হানকে মুক্ত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবেন।
এর পরিপ্রেক্ষি কাজী এনায়েত উল্লাহ জানান, মালেয়শিয়া সরকার তার কথা না রাখলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্গনের অভিযোগে মালেশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়ান আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ করবেন এবং এব্যাপারে আয়েবার নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবি ফিলিপ সিমনেকে সমস্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিনা শর্তে মালেয়শিয়া সরকার ১৯ আগষ্ট রায়হান কবীরকে মুক্তি দিয়ে বাধ্য হন। মালেয়শিয়া বাংলাদেশ বিমান যোগাযোগ শুরু হলেই রায়হান কবীর বাংলাদেশে ফিরবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে যারা রায়হানের পক্ষে স্ট্যান্ড নিয়েছে আয়েবা, ডব্লিউ বি ও এবং মিডিয়া কর্মী সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কাজী এনায়েত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি খুবই আন্তরিকভাবে আনন্দিত, রায়হান মুক্ত হয়েছে। ডব্লিউ বি ও এবং আয়েবা প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। শুধু রায়হান কবীর নয় প্রবাসীদের যেকোন সমস্যায় আমরা সবসময় পাশে আছি এবং থাকবো।
Leave a Reply