“কেন্দ্রীয় কমিটির নিষ্ক্রিয়তায় ও দীর্ঘদিন দলের কোন কর্মসূচী না থাকায় তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা হতাশ হয়ে রাজনীতি থেকে দুরে সরে গেছে। আর এই সুযোগে আনুগত্যশীল অযোগ্য আর বহিরাগতদের নিজের ইচ্ছে মাফিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বড়বড় পদে বসিয়েছেন সভাপতি জামাল উদ্দিন!” অভিযোগ করে কথাগুলো বলেন জেলা তরুণদলের সভাপতি ও ছয়ানী বিএনপির সাবেক নেতা নুর নবী চৌধুরী।
এছাড়াও জেলা কৃষকদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছয়ানী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, “রাজনীতির পাঠ কিংবা দলের পেছনে কোনো অবদান নেই। ব্যক্তিগত সুবিধা আর আনুগত্যই এখানে মুখ্য। ছয়ানী বিএনপি’তে অবৈধ পকেট কমিটির মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দলকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছেন বিতর্কিত কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন”
গত ২৯শে আগস্ট বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন এই কমিটিকে অযোগ্য ও অবৈধ ঘোষণা করেন সাবেক ও পদবঞ্চিতরা। বিতর্কিত এই কমিটি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের মাঝে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার, ছয়ানী বিএনপির সাবেক ও পদবঞ্চিতদের ডাকে আয়োজিত হয় এক প্রতিবাদ সভা।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা ভুলুর অনুকম্পা নিয়ে জামাল উদ্দিন ছয়ানী বিএনপিকে কুক্ষিগত করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত সুবিধার বিনিময়ে নিজের পছন্দমতো লোকদের পদে বসাচ্ছেন। রাজনীতি করছেন ছাত্রলীগের, কিন্তু সভাপতির সাথে সুসম্পর্কের জেরে হয়ে গেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক! করছেন সিনিয়র ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন ও পদবঞ্চিত।
দলের এই দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে, পূর্বের ঘোষণাকৃত অবৈধ ও অযোগ্য পকেট কমিটি দ্রুত বাতিল করে, দলের তৃনমূল নেতাকর্মীদের পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী উচ্চারন করেন প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা।
ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিন্টু’র সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা তরুণদলের সভাপতি ও ছয়ানী বিএনপির সাবেক নেতা নুর নবী। ছয়ানী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল মালেক। ছয়ানী বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইছমাইল মাহমুদ। জেলা কৃষকদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ছয়ানী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েদ ও সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি এম আলাউদ্দিন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে, সাবেক চেয়ারম্যান ও নতুন কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply