শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করার আদেশ প্রদানের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট ২০২০ তারিখে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এর ভাইস চ্যান্সেলরের মেয়াদপূর্তিতে পদ শূন্য হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পরবর্তী ভিসি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে ভিসির রুটিন দায়িত্ব পালন করার আদেশ প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান বিতরন ও জ্ঞান সৃষ্টির স্থান। কাজেই একজন প্রতিথযশা শিক্ষাবিদ হবেন এর প্রধান অর্থাৎ ভাইস চ্যান্সেলর, যিনি জ্ঞান বিতরন ও জ্ঞান সৃষ্টির নেতৃত্বদানের মাধ্যমে জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবেন। আর একজন কর্মকর্তার পক্ষে এই কাজটি কোনোভাবেই সম্ভবপর না এবং একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভিসির দায়িত্ব হিসেবে নিয়োগাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন তার বিচক্ষণ নেতৃত্ব আর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন একটি মহল তাঁর অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও তাদের অসাধু উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে এ ধরনের নিয়োগাদেশ প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শেকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের রুটিন দায়িত্ব পালন করার আদেশ প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে নিয়োগাদেশ বাতিলপূর্বক প্রত্যাহার করবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
এবিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হলে বলেন, বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে সেটাই আমাদের কথা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ইস্যুতে চুপ থাকলেও কেনো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে বিবৃতি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের সমস্যার সাথে এটির পার্থক্য আছে। এটি অনেক বড় একটি সমস্যা, খুবই বড় সমস্যা।
এবিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমকে দীর্ঘসময় ধরে ফোন দেওয়া হলে ফোনের অপরপাশ থেকে বারবার বলা হয় তিনি টয়লেটে আছেন।
Leave a Reply