1. admin@protidinershomoy.com : admin :
  2. nasimriyad24@gmail.com : ডেস্ক রিপোর্ট : ডেস্ক রিপোর্ট
  3. wp-configuser@config.com : James Rollner : James Rollner
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে টাটা’র নতুন শো-রুম উদ্বোধন ধারের টাকা শোধ না করার কৌশল হিসেবে রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি ঠাকুরগাঁওয়ে ফুটবল খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ান নারী ফুটবলারদের ফুলেল শুভেচ্ছা ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে পলিথিন কারখানা সিলগালা,বিপুল পরিমান পলিথিন জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভূল্লী থানার নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কে এ নিলয়ের চলচ্চিত্র ‘বউ’ এর শুভ সূচনা! লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গড়ে তোলাই অন্তবর্তী সরকারের প্রধান কাজ – ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে ১ম আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

লোহাগড়া সাবরেজিস্ট্রি অফিস দলিল লেখক সমিতির হাতে জিম্মি দাতা-গ্রহীতা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • সময় : রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪২৪ জন পড়েছেন

নড়াইলের লোহাগড়ায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে দলিল লেখক সমিতির সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। সমিতির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলার জমির দাতা ও গ্রহীতারা। ৮০থেকে ৯০শতাংশ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে সমিতি। সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

জানা যায়, লোহাগড়ার ভূমি রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় খরচের টাকা দলিল লেখক সমিতির মাধ্যমে আদায় করা হয়। সাধারণ দলিল লেখকরাও জিম্মি হয়ে পড়েছে সমিতির নেতাদের কাছে। তারা সমিতির বাইরে গিয়ে কোনো ভূমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। রেজিস্ট্রি অফিসকে জিম্মি করে সরকারি নির্ধারিত ফিসের ৮০থেকে ৯০শতাংশ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে সমিতি। সাধারণ ও নিরীহ মানুষ অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জিম্মি করে আদায়কৃত টাকা ভাগ করে নিচ্ছেন সমিতি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও স্থানীয় প্রশাসনসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, লোহাগড়া (লক্ষীপাশা) সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমিতির কাছে জমির দাতা ও গ্রহীতাদের জিম্মিদশার ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে। সমিতির বিনা অনুমতিতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কোনো জমি রেজিস্ট্রি হয় না বলে অভিযোগ আছে। সাধারণ দলিল লেখকদেরও সমিতির বিনা অনুমতিতে দলিল সম্পাদন করার ক্ষমতা নেই। দলিল লেখার যাবতীয় টাকা দিতে হয় সমিতিকে। তারপর সমিতির গোপনীয় একটি সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করার পরই দলিল যায় সাব-রেজিস্ট্রারের টেবিলে। সেখানেও প্রতি টেবিলে দলিল প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা এবং ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও কাগজের ত্রুটি থাকলে সংশ্লিষ্ট করণিক সাব- রেজিস্ট্রারের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে প্রকারভেদে আদায় করেন লাখ টাকা পর্যন্ত। এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক।

লোহাগড়া উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসে ২০১৯ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ১’শ ১৭টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক রয়েছেন ৭৮জন। সমিতি ভুক্ত রয়েছেন ৭২জন। আইন অনুযায়ী দলিল লেখকরা দলিল লেখার বিনিময়ে প্রতিপৃষ্ঠা বাবদ ও সরকারি ফির হার নির্ধারণ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে একটি করে তালিকা টানিয়ে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সধারী কোনো দলিল লেখক আইন লঙ্ঘন করলে সাব-রেজিস্ট্রার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। কিন্তু লোহাগড়ায় এসব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারও নিজে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য সমিতির অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে থাকেন।

সাব-রেজিস্ট্রারের সপ্তাহে ৫দিন অফিস করার কথা থাকলেও বুধবার ও বৃহস্পতিবার মাত্র দুইদিন তিনি অফিস করে থাকেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অভিযোগ নড়াইলের ডিস্টিক সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল রহিম বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করছেন বলে জানিয়েছেন। তারপরও তার দুনর্ীতি থেমে নেই। তিনি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রকৃত মালিককে বাদ দিয়ে কমিশনের মাধ্যমে অন্যের নামের জমি রেজিস্ট্রি করার নজীরও স্থাপন করে চলেছেন। নিজ নামীয় সম্পত্তি অন্যের নামে কমিশনে দলিল করায় উপজেলার রামপুর গ্রামের ডালিম বেগম বাদী হয়ে তার (সাব রেজিস্ট্রার) নামে নড়াইল আদালতে মামলা করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রতি সপ্তাহে সাব-রেজিস্ট্রার এ অফিস থেকে ঘুষের প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ভাগ পেয়ে থাকেন।

এ বিষয় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম জানান, ‘কোনো অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় না। তবে দলিল প্রতি সমিতির জন্য ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা নেয়া হয়।’

একই প্রসঙ্গে লোহাগড়ার সাব রেজিস্ট্রার (এসআর) তন্ময় কুমার মন্ডলের কাছে সাংবাদিকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বিভিন্ন তথ্য চাইলে তিনি সাব জানিয়ে দেন, কোর্ট থেকে অনুমতি আনলে আমি তথ্য দিব। নয় কোন তথ্য দিবনা। দাম্ভিকতার সঙ্গে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা পারেন তাই করেন।

সংবাদটি আপনার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার দিন

এই ক্যাটাগরীর আরোও সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশেষ সংখ্যা

You cannot copy content of this page