ঢাকার ধর্ষণ মামলার আসামী নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া বাজার থেকে জামসেদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে লোহাগড়া উপজেলার ছাইমানার-চর গ্রামের মৃত-আবু জাফর শেখের ছেলে।মামলা
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছাইমানার-চর গ্রামের মৃত-আবু জাফর শেখের ছেলে জামসেদ হোসেন (৩৩) বর্তমান ভাটার থানার সমতা সড়ক নুরেরচালা, ফযেজ মিয়ার বাড়িতে বসবাস করে। অত্র মামলার বাদী মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার নারান্দিয়া গ্রামের মোক্তার মিয়ার কিশোরী মেয়ে (১৭) বর্তমান মাজার রোড, মিরপুর-১ বসবাস করে। বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া বিগত ইং ২৯/০৮/২০১৮ তারিখে বিবাদীর ভগিনা ওসমান শিকাদারের ঢাকার ১০০ ফিট গামকা অফিসের পিছনে বাসায় নিয়ে আসে। বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। বাদী কান্নাকাটি করিলে ০৬.০৯.২০১৮ইং তারিখে আসামী জামসেদ বিবাহের কথা বলিয়া ওই কিশোরীর নিকট থেকে দুটি স্ট্যাম্প ও একটি নীল কাগজে স্বক্ষর নিয়ে নেয়। কিছু দিন পর ওই কিশোরী জামসেদের নিকট কাবিন নামা দেখতে চাইলে সে টালবাহানা করতে থাকে। এর মধ্যে বাদীকে গত১৯.০৯.২০১৯ইং তারিখে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ সময় বাদী খোঁজ খবর নিয়ে বাদী জানতে পারে যে, এই আসামীর একাধিক বিবাহ করাই তার নেশা ও পেশা। আসামী এর পূর্বের স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন রেখে অত্র মামলার বাদীকে ফুসলাইয়া ধর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে বাদী আসামীর নিকট মোবাইলে যোগাযোগ করে বিবাহের কথা জানতে চাইলে সে হুমকি দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনা বাদী তার বোন মোসাঃ রাশিদা বেগমকে জানালেও কোন লাভ হয়নি। পরে বাদী ভাটারা থানায় ধর্ষণ মামলা করে। মামলা নং-৩২, তারিখ ১৪.১১.২০। ধারা ৯(১)৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। মামলার আসামী লাহুড়িয়া বাজার থেকে গ্রেফতার হওয়ার খবর প্রাপ্ত হইয়া ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ এর আদেশ মোতাবেক উক্ত আসামীকে নড়াইল লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান এর কাজ থেকে আসামীকে বুঝিয়া পান। আসামীকে ঢাকায় চালান করিয়া দেয় এবং ঢাকা ভাটারা থানায় আসামীকে বুঝিয়া পাইয়া। ভাটারা থনাার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খলিলুর রহমান গত তারিখ ২৬ নভেম্বর আসামীকে ০৫ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ সি.এম.এম. আদালত ঢাকায় প্রেরণ করিলে বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানীঅন্তে আদালত ০৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply