নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলার আসামী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় চাঁচুড়ী ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে নড়াইল-কালিয়া সড়কের বাঁশগ্রাম বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে বাঁশগ্রাম বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বিক্ষোভ মিছিলটি। মানববন্ধন ও মিছিলে চাঁচুড়ী ইউনিয়নের কয়েকশত নারী-পুরুয় অংশগ্রহন করে।
মানববন্ধন চলা কালে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এস এম আলমগীর হোসেন, চাঁচুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মুন্সী লুৎফর রহমান, ডাক্তার রজিবুল ইসলাম মিঠু, চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরকের পিতা বেদু্ইন সাত্তার, স্ত্রী রুনা লায়লাসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, সিরাজুল ইসলাম হিরক গত ২৬ নভেম্বর সকালে যখন নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গির বিশ্বাসের জানাযার নামাযে নড়াইলের ভওয়াখালীতে নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহন করে, তখন কে বা কাহারা চাচঁড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমানকে কালিয়া-নড়াইল সড়কের আরাজি বাঁশগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কুপিয়ে আহত করে। সেই ঘটনায় চাঁচুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী করা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, এই উদ্যোশ্য প্রনোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক এ মামলা থেকে যদি চেয়ারম্যান হিরোককে ৩দিনের মধ্যে অব্যাহতি না দেওয়া হয় এবং জামিন না দেওয়া হয় তাহলে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুনা লায়লা বলেন, আমার স্বামী একজন জনপ্রিয় চেয়াররম্যান। জনগনের পাশে সর্বদা সুখে দুঃখে থাকে। সামনে নির্বাচন তাই প্রতিপক্ষরা তাকে ফাসাতে এ ধরনের হীন মন মানসিকতার আশ্রয় নিয়ে মামলার আসামী করেছে। যাতে জনপ্রিয়তা কমে নির্বাচন করতে না পারে।
চেয়ারম্যান হিরকের পিতা বেদুইন সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু আমার নাম দিয়েছিলেন বেদুইন সাত্তার। সেই থেকে আমাকে সকলে বেদুইন সাত্তার বলে চেনে। আমি বঙ্গবন্ধুকে অনেক ভালবাসতাম। যেদিন শুনলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে সেই দিন থেকে প্রজ্ঞিতা করেছিলাম বিচার না হওয়া পর্যন্ত স্যান্ডেল জুতো পায়ে দিব না। বঙ্গববন্ধুর খুনিদের ফাঁসি হওয়ার পার আমি জুতা পড়া শুরু করেছি। আর এই কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে চেনে এবং আমার ছেলে হিরককে তিনিই নৌকা মার্কা দিয়েছিল। আর এখন তাকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
উল্লেখ্য, আ’লীগ নেতা মো. লুৎফর রহমানকে ২৬ নভেম্বর সকালে আরাজি বাঁশগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালানো হয়। তার দুই হাত ও পায়ের রগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমানের ভাই দিদারুল আলম বাকী বাদী হয়ে ২২জনকে আসামী করে কালিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় চাঁচুড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হিরকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়।
Leave a Reply