দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের গনিত বিভাগের (১৯-২০) শিক্ষার্থীরা।
আজ ২০ নভেম্বর রবিবার সকালে নারায়নগঞ্জের চাষারা এলাকায় অসহায় মানুষদের মাঝে ৮০ টি কম্বল প্রদান করেন তারা।
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? তারুণ্য জাগলেই সকাল হবে।
শীতের সকালে সবাই যখন কাজ ছাড়া বাসা থেকে বের হয়না।সেখানে শীতের আড়মোড়া ভেঙে কয়েকজন তরুন বের হয়েছে অসহায় মানুষদের শীতের কষ্ট থেকে বাঁচাতে।
“নিজে নয় সকল কে নিয়ে ভালো থাকবো” এই প্রত্যয় নিয়ে গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রয়াসে গড়ে উঠে সেচ্ছাসেবী সংগঠন সেফ আওয়ার পিপলের ব্যানারে তারা এ উদ্যোগ সফ্ল করেন।
এই তীব্র শীতে কষ্টে থাকা কিছু মানুষের শীত নিবারনে এ সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে থেকে অর্থ সংগ্রহ করে কম্বল বিতরণের এ উদ্যোগ সম্পন্ন করেন।
গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাকিল বলেনঃসমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ গুলো কখনোই তাদের অভাব অনটন দূর করতে পারে না।প্রতি শীতেই তাদের শীত বস্ত্রের অভাবে কষ্ট করতে হয়।কিন্তু নারায়ণগঞ্জ এর চাষারা রেইল স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় বসবাসকারীদের জন্য এই শীতটা আরও কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে।পদ্মা সেতুর প্রকল্পের একটি অংশ হচ্ছে পদ্মা সেতুর সাথে নারায়ণগঞ্জ এর রেইল যোগাযোগ স্থাপন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাষারা রেইল লাইন সংলগ্ন অনেক ঘর বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।তাদের মধ্যে অনেকেরই মাথায় আর ছাদ জুটেনি।
তারা আশেপাশের জায়গাগুলোতে কোনভাবে রাত্রিযাপন করে।শীত তাদের কষ্ট গুলো কে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।তাই সেইসব মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগ(১৯-২০ সেশনের) শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে উঠা সংগঠন “সেইফ আওয়ার পিপল ” এর উদ্যোগে অসহায় মানুষদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পেরেছি। যেহেতু আমাদের সংগঠনটির কোন স্পনসর ছিলো না।
তাই আমরা নিজেরা অনুদান সংগ্রহ করে কাজটি সম্পুর্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ।আমরা যেনো ভবিষ্যতে এই মহৎ কাজ গুলো আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে পারি সেজন্য সমাজের সামর্থ্যবান মানুষদের সহায়তা কামনা করছি।
সোহেল রানা বলেনঃআমাদের অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা ছিলো শীতে মানুষদের সহযোগীতা করবো।সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠন এর সদস্যরা এবং ভার্সিটির বন্ধুদের সহযোগীতায় আজ আমরা কিছু মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করি।যাদের সামর্থ্য আছে দয়াকরে আপনি আপনার সামার্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ান।
গনিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শাকিল মাহমুদ বলেনঃ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা আমাদের প্রিয় সংগঠন “সেইফ আওয়ার পিপল” এর পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে কিছু টা হলেও মানুষের সাহায্য করেতে পেরেছি এটা অনেক আনন্দের।অনেকটা কষ্টকর হলেও সকলের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে। আমার মনে হয় এই সময়ে সকলকের উচিত দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়ানো।
উল্লেখ্য করোনাকালীন ৩০ টির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন এ শিক্ষারথীরা।
Leave a Reply