আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারত ও চীন তাদের সৈন্য সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর কথা জানিয়েছে চীন। এদিকে, প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ থেকে দুই দেশের সেনা সরে আগের অবস্থানে যাবে বলে বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টে ঘোষণা করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
রাজনাথ সিং আজ পার্লামেন্টে জানান, প্যাংগং লেকের উত্তর তীর থেকে চীনের সেনা পূর্ব দিকে নিজেদের স্থায়ী শিবিরে যাবে। আর, ভারতের সেনাও ফিঙ্গার পয়েন্ট চার থেকে সরে গিয়ে স্থায়ী শিবিরে ফিরে যাবে। তবে সেনা সরবে পর্যায়ক্রমে। ফলে ফিঙ্গার পয়েন্ট চার থেকে আট পর্যন্ত কারো অধিকারে থাকবে না। পেট্রোলিং এখন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া রাজনাথ সিং দাবি করেন, ভারত তার এক ইঞ্চি জমিও হারায়নি।
পার্লামেন্টে রাজনাথ জানিয়েছেন, ভারত ও চীনের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকবে। আরো কিছু বিষয়ে সমঝোতা হওয়া এখনও বাকি। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, চীনকেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) মানতে হবে। ভারত বা চীন—কেউ একতরফা কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না এবং কোনো জমি দখল করতে পারবে না। রাজনাথ জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা আবার আলোচনায় বসে বাকি বিষয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করবেন।
গত বছরের এপ্রিল-মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে এই দুই দেশের একাধিক সংঘর্ষ হয়। এর ফলে উভয় দেশের কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটে। সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গত ২৪ জানুয়ারি চীন সীমান্তের মলডোতে নবম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের সেনা কর্মকর্তারা। তার পরে নয়াদিল্লি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, দুইপক্ষই দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্নেল উ চিয়াং বুধবার বিবৃতি দিয়ে জানান, লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ ও উত্তর তীরে চীন-ভারতের যে সেনা মোতায়েন রয়েছে, তারা আজ থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ও সমতা বজায় রেখে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। ভারত ও চীনের মধ্যে নবম পর্যায়ের যে সেনা বৈঠক হয় তার ভিত্তিতেই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply