নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা হামলার শিকার হেেয়ছে। এসময় পুলিশের নিকট থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে ওই গ্রামের একটি মসজিদের পাশ থেকে পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুমড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন নারীকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন-জাহানারা বেগম,সেলিনা ও সোহানা।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানজিলা সিদ্দিকা, লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রায় তিন ঘন্টা অভিযান চালিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ওই গ্রামের একটি মসজিদের পাশ থেকে পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে।
লোহাগড়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমড়ি গ্রামের ওহিদুর সরদার ও লুটিয়া গ্রামের ফিরোজ শেখ গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো। বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তুতি নেয়। বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে লোহাগড়া থানার এএসআই মীর আলমগীল হোসেন ও এএসআই মিকাইল হোসেন এলাকায় গিয়ে প্রথমে ফিরোজ শেখ পক্ষকে গোলযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেন। পরে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা অপর পক্ষ ওহিদুর সরদার পক্ষের লোকজনকেও নিবৃত্ত করতে যান।
এসময় ওহিদুর সরদারের পক্ষের ২০-২৫ জন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাকে মারধর করে একটি পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত লোহাগড়া থানার এএসআই মীর আলমগীরকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত এএসআই মিকাইল হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মীর আলমগীরের মাথায়, বাম হাতের কনুইয়ে কোপানো হয়েছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠির আঘাত। মিকাইল হোসেনের শরীরে লাঠির আঘাত রয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন,গুলিসহ হামলাকারিরা পিস্তলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই এলাকায় একটি মসজিদের পাশে অস্ত্রটি পাওয়া যায়। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply