নাগরপুর,প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর গয়হাটা ইউনিয়নের কলিয়া ব্লকের নরদহী গ্রামে তেল জাতীয় প্রকল্পের আওতায় তিল প্রদর্শনী কর্তন করা হয়েছে। তিলের উৎপাদন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তিলের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর।
সোমবার (২১ জুন) তিলের নমুনা ফসল কর্তণে অংশগ্রহণ করেন নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩ শত ৮৮ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ হয়েছে। আজ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান গম পাট ও তিল বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত বারি তিল-৪ জাতের প্রদর্শণীর নমুনা শস্য কর্তন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । উল্লেখ্য যে এই প্রদর্শণী ভুক্ত চাষী এই জমি হতে যে পরিমাণ তিল পাবে তার পুরোটাই বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করবে আগামী বছবের জন্য এবং তিনি সরকার কর্তৃক প্রদও লাইসেন্স ধারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা যিনি নিজের উৎপাদিত বীজ বিক্রি করবেন। বারি তিল-৪ একটি আধুনিক জাতের তিল, এর ফলন স্থানীয় জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ, উচ্চতা ৯০-১২০ সেমি,কান্ড, শাখা ও প্রশাখা লোমবিহীন,পাতা গাঢ় সবুজ ও অমসৃণ,শাখা প্রশাখা ৩-৪টি প্রাথমিক শাখা,শাখাগুলি কান্ডের একটু উপরে জন্মায়, প্রতিটি শাখায় ২-৩ টি প্রশাখা জন্মায়, পুষ্পের রং হালকা গোলাপি,প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ৮৫-৯০ টি, চার প্রকোষ্টবিশিষ্ট এবং প্রতি শুটিতে বীজের সংখ্যা ৭৫-৭৭টি,শুটিতে বারি তিল-২ এবং বারি তিল-৩ এর তলিনায় শতকরা ২০-২৪ভাগ বীজ বেশি থাকে,বীজের ত্বক খয়েরী বর্ণের যা বিদ্যমান জাতদ্বয় টি-৬ ও বারি তিল-২ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন,জীবনকাল ৯০-৯৫ দিন,বারি তিল-৪ একটি আধুনিক জাতের তিল, এর ফলন স্থানীয় জাতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
কলিয়া ব্লকের নরদহী গ্রামের প্রদর্শনী ভুক্ত কৃষক মোঃ শুকুর বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব ছরোয়ার হোসাইন এর মাধ্যমে আমি তিলের বীজ ও সার পেয়েছি।ফলন আলহামদুলিল্লাহ অন্য জাতের চেয়ে বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, করোনা মহামারি কালে গত বারের মত এবারও যাতে নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা সময় মতো ফসল কেটে ঘরে তোলতে পারে তার জন্য উপজেলা প্রশাসন কৃষকদের পাশে থাকবে।কৃষকরা যেন তিলের ন্যায্যমূল্য পান, সেদিকে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তদারকি করবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছরোয়ার হোসাইন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম প্রমূখ।
Leave a Reply