নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমি অনেক গর্ববোধ করি এই জন্য যে আমার এই দলের নেতাকর্মীরা ক্ষমতার দাম্ভিকতা নয়, ক্ষমতার মৌহ নয় যে অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৪৯ সালে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দলটিকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই অঙ্গীকারগুলো বুকে ধারণ করে সে দর্শনকে বিশ্বাস করে মানুষের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে এই করোনার আগ্রাসন আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য যে উন্নয়নমূলক কাজগুলো করে যাচ্ছেন তাতে কিছুটা বাধা পড়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার বায় বেড়েছে। এখন এই মুহূর্তে যতো টাকায় লাগুক না কেন, যেভাবেই হোক দেশের মানুষের জন্য করোনার টিকার ব্যবস্থা তিনি করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। এই যে একটা সাহসী উদ্যোগ, একটি প্রণোদনাময় কাজ এটি কিন্তু একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা দেয় আমাদেরকে। একটি নির্ভরতা, একটি আস্থা এই যে, একজন রাষ্ট্রপ্রধান যত টাকায় লাগুক না কেন তার রাষ্ট্রের মানুষের জন্য সেটা করে যাচ্ছেন। তার নিরন্তর তদারকির কারণে করোনা ভাইরাসের দুর্যোগের সময় আওয়ামী লীগ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন থেকে শুরু করে কওমি মাদরাসা, গার্মেন্টসকর্মী, কৃষক-শ্রমিক ও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ সংগঠনটি। আর এ জন্যই মুজিববর্ষের শুরু থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রামে গিয়ে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলা এবং লকডাউনের মধ্যে গরিব মানুষকে ত্রাণ বিতরণে নিবেদিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় নেত্রী ৩১দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন যা একেবারে বিস্তারিতভাবে যেখানে এমন কোন এলাকা নেই যে সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। পাশাপাশি এই পর্যন্ত ২৩টি প্যাকেজে ১ কোটি ২৮ লাখ ২৮ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এ দেশের অর্থনৈতিক সামর্থ্য বিবেচনায় এই প্রণোদনা কিন্তু কোন চারটে খানেক কথা নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা, সাহস, আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে এতো বড় একটা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক সুখকর বটে। আসলে আওয়ামী লীগের জন্য করোনা মহামারি গত মার্চ মাস থেকে ছিল একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লড়াইটা ভালোই করেছেন। জীবন-জীবিকাকে পাশাপাশি রেখে মানুষ যেন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে না পড়ে সেটা দেখাই ছিল তাঁর কৌশলের প্রধান দিক। তবে মহামারির মধ্যে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ এক অন্যরকম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এই করোনাকালে আক্রান্ত হয়েছেন, মারাও গেছেন অনেকে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুরু থেকেই যখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়লো তখন মনে হচ্ছিলো রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটা ছায়া রাষ্ট্র নেমে পড়েছে করোনায় এই রাষ্ট্রের অসহায় ও দুর্যোগে পড়া মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য। রাষ্ট্র এবং দল প্যারালালি এই মানবিক কাজে নেমে পড়েছিল।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply