নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, প্রবাসে আমরা যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ ও লালন করি সেটা আজ অনেক দিন হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের আগের থেকেই আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নানা প্রতিকূলতায়ও আমরা তার আদর্শকে লালন করে আসছি। যেমন শেখ হাসিনাকে যখন বাংলাদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না আমরা কিন্তু অর্থাৎ যারা প্রবাসীরা আছি তারাই কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছি। আমরা প্রবাসে বলুন আর দেশেই বলুন আমরা বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করেছি, লেখালেখি করেছি এটার জন্য। আমরা নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের জন্য অনেক সময় নিজের প্রাণ হাতে নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছি। প্রবাসে আমরা যারা দেশকে নিয়ে কাজ করছি ঠিক একইভাবে কিছু মানুষ এখানে আছে যাদের নাম আমি নিতে চাচ্ছি না তারাও কিন্তু এখানে বসে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা যারা প্রবাসে থাকি তাদের সঙ্গে কিন্তু বহির্বিশ্বে অনেকের সাথে যোগাযোগ হয়। আমরা খেয়াল করেছি বাংলাদেশের ঈর্শনীয় সাফল্যের কারণে পাকিস্তানের একটা উদার অংশও কিন্তু বাংলাদেশে প্রশংসা করছে। কিন্তু এই যে নরকের কিট রয়েছে তারা বিদেশে বসে বাংলাদেশের অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলছে; এইসব উদ্ভট কথা বার্তা বলে তাদেরকে অবশ্যই আমরা আমাদের সাধ্যমত প্রতিরোধ করি। আজ শেখ হাসিনার কিছু সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত রেখেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার কমিয়ে, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশীয় শিল্পকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশও শেখ হাসিনার গত এক যুগের শাসনামলে এগিয়ে গেছে দুর্বার গতিতে। বেশকিছু সামাজিক সূচকের পাশাপাশি অর্থনীতির সূচকেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে, এসডিজি বাস্তবায়নের পথে। একজন দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর মানবিক ও রাজনৈতিক আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবলম্বন করে দেশের উন্নয়নে ও জনগণের কল্যাণে সব সরকারি নীতি নির্ধারণ করেন। ২০০৭ সালে নেতৃত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হলেও তার ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, দৃঢ় মনোবল, দেশ ও জনগণের কল্যাণবোধ এবং বিশাল জনসমর্থন থাকার কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও উন্নতি, দেশের প্রত্যেক মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও জীবনমান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অবদান অস্বীকার করা অসম্ভব। ফলে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পথ সুপ্রশস্ত হয়। এটাও কিন্তু বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। সেই আদর্শে বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। পরিশেষে আমি একটি কথা বলতে চাচ্ছি জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনা আমারা যারা প্রবাসে আছি তাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস।
Leave a Reply