গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগের পুরান সিন্ডিকেট।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের দ্বারা গঠিত এই সিন্ডিকেট গাজীপুর মহানগর কমিটিতে ভাগ নিতেই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর মহানগর শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার জন্য কয়েক দফা বৈঠক করলেও সিন্ডিকেটের চাপের কারণে কমিটি দিতে পারছে না। এমন কি নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নেতা বানাতে না পারলে সংবাদ মাধ্যম দিয়ে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার চক্রান্তও করা হবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে বলে একাধিক ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ সাকির কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারের আস্থাভাজন। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ব্যক্তিগত পছন্দের প্রার্থী কাজী সাকির।
সোহাগ-জাকির কমিটির সময় সম্মেলন হয়ে যাওয়া গাজীপুর মানগর ছাত্রলীগের কমিটি নানা জটিলতায় দীর্ঘ দিন আটকে থাকলেও এবার নতুন করে কমিটি ঘোষণা করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এর পরই এমন অশুভ খেলা শুরু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতারা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সহ সভাপতি বলেন, “গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নিতে হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নূন্যতম কয়েক কোটি টাকা দিতে হয়। এবার সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কমিটি হওয়ায় দীর্ঘ দিন এই বাণিজ্য হচ্ছে না। তার পরেও টাকার পাড়ান হাতে নিয়েই এবার সিন্ডিকেটের পছন্দের প্রার্থীকে নেতা বানাতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি মহল। আর সেই মহল সিন্ডিকেটের পোষা।”
জানা যায়, কাজী মোহাম্মদ সাকির সোহাগ জাকিরের কমিটির সময় নেতা হতে তৎকালিণ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে একটি গাড়ি উপহার দেন। সেই গাড়িতেই বর্তমানে চড়ছেন তিনি। এই কমিটিতে কাজী সাকির নেতা না হতে পারলে গাড়ি ফেরত দেয়ার প্রশ্নও উঠতে পারে। যার কারণেই সাইফুর রহমান সোহাগের অধ্যাতিক গুরু সিন্ডিকেট প্রধান লিয়াকত শিকদার তার সিন্ডিকেটের টিম নিয়ে মাাঠে নেমেছেন। যেখানে কয়েকজন টিভি ও পত্রিকার সাংবাদিকরাও জড়িত।
তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে সিন্ডিকেটের হাত থেকে ছাত্রলীগকে মুক্ত করেছেন। এখানে যে কোন শাখারই হোকনা কেন, সিন্ডিকেট মুক্ত ছাত্রলীগ গড়তে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদারকে কয়েকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা যায় নি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নি।
Leave a Reply