নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বার্তা দিয়েছেন সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম জাহাঙ্গীর কবির এবং সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান। রবিবার তারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক বার্তা দেন।
সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম জাহাঙ্গীর কবির তার বার্তায় জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আত্মনিয়োগ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এদিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়গণ শাহাদত বরণ করেন। আমি শোকাহত চিত্তে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬-এর ৬-দফা, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন।
সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। ফাঁসির মঞ্চেও তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। দীর্ঘ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এই মহান নেতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, যা ছিল মূলত স্বাধীনতার ডাক। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply