টাঙ্গাইল(নাগরপুর) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে নাগরপুরে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকির কদর। এক সময় গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটি করে ঢেঁকি ঘর ছিল। এখন কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে কোনো বাড়িতে ঢেঁকি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দিন দিন ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্ত হলেও বাংলার এই গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে নেই কোনো উদ্যোগ।
তবে হাতে গোনা দু-একজন কৃষকদের বাড়িতে এখনো কাঠের তৈরি এসব ঢেঁকি চোখে পড়ে। এসব বাড়িতে উৎসব-বা নতুন জামাই এলে চালের গুঁড়ি তৈরি করতে গ্রামের গৃহস্থ ঘরে পুরোনো ঢেঁকির ধুঁপধাপ শব্দ শোনা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলা গয়হাটা ইউনিয়নের ঘিওরকোল গ্রামে দেখা পাওয়া যায় ঠিক তেমনি দুষ্কর এক ঢেঁকি বাড়ির। দেখা যায় আব্দুল ছালামের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের বৌ ঢেঁকিতে তৈরি করছেন চালের গুঁড়া। চালের গুঁড়া তৈরির সময় তাঁরা বলেন, ‘বাড়িতে জামোই আসপি। মেয়ে আগেই চলে আইছে। বিকালে জামাইও আসপি। তাই তারাতারি করে ঢঁকিতি চাল কুটতেছি। নতুন জামোইরে পিঠা খাওয়াবো।’
পোষ্টকামারী গ্রামের খুদেজা বেগম (৪৯) জানান, ‘ঐতিহ্যবাহী এই ঢেঁকি অনেকটা স্মৃতি বসতই ধরে রেখেছি। প্রায় ১০ বছর ধরে এই ঢেঁকিতে ধান, আঁটা ভেঙে আসছি।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত ই জাহান বলেন, ঢেঁকি আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে ব্যক্তি উদ্দ্যোগে ঢেঁকি সংরক্ষণ হলেও আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছি কিভাবে ঐতিহ্যবাহী এ ঢেঁকি সংরক্ষণ করা যায়।
Leave a Reply