ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিদ্বন্দী নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আলম মোল্লা ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি-ঘর ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর ভাঙ্গায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে হামিরদী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে আলম মোল্লা নির্বাচিত হন। পরাজিত হয় সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সম্প্রতি আলম মোল্লার পক্ষের কয়েক ব্যক্তি বাবর আলীর পক্ষে যোগ দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠে। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে দুপক্ষ ঢাল, সড়কি, ইট ও লাঠি নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।পরে খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য আলম মোল্লার পক্ষের আলমগীর মোল্লা (৪১), হাসি বেগম (২৭), মজিবর রহমান (৫৫), ইদ্রিস মিয়া (৫৬), সাগর মোল্লা (৩০), শেখ নান্নু (৫০), চুন্নু ফকির (৬০) ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলীর পক্ষের ফারুক মাতুব্বর (২৩), ইয়াছিন মাতুব্বর (৪২), এখলাছ মিয়া (৩২), শেখ মওদুদ আহমেদ (২২), মোঃ সোহেল (২৪), ইব্রাহীম মাতুব্বর (৩৮), আবু বকর (৬৫), লালন মাতুব্বর (২১), সরফুদ্দিন শেখ (৩৭) আহত অবস্থায় ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বীর মুক্তিযোদ্বা শুকুর আলীর ছেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত শেখ আব্দুর রহিমের বাড়ি, নব নির্বাচিত মহিলা ইউপি সদস্য জেসমিন মোরশেদ ইভার বাড়ি, মোহর আলীর বাড়ি এবং সাবেক পুলিশ সদস্য রেজাউল শেখের বাড়ি ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়।
গৃহকর্তী পলী বেগম অভিযোগ করে বলেন, এলাকার ইমরান মাতুব্বর সহ ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ব হয়ে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি,আসবাবপত্র ভাংচুর করে মালামাল এবং টাকা-পয়সা লুট করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
Leave a Reply