ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছাড়া এই বাংলাদেশের কোন অস্তিত্ব নেই। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী সচেতনভাবে বাঙালির কাছ থেকে ভাষার অধিকার হরণ করতে চেয়েছিল। তারা চেয়েছিল সংখ্যালঘু জনগণের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে। কিন্তু তাদের সেই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন বাঙালির ত্রাণকর্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজীবন মাতৃভাষাপ্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বে, ১৯৪৮ সালে রাজপথে আন্দোলন ও কারাবরণ, পরে আইনসভার সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন। এক কথায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিহাসের অনন্য দৃষ্টান্ত। একুশের চেতনা যদি আমাদের মাঝে ধারণ করতে না পারতাম তাহলে কখনোই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতাম না। আমাদের এখনো একুশে ফিরে যেতে হয় কারণ একুশকে বলা হয় প্রতিরোধের দুর্গ, একুশকে বলা হয় বাংলা সাংস্কৃতিকের অন্যতম অধ্যায়, বাঙালি জাতির রক্ষা কবচ হিসেবে আমরা প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটাকে সম্মানের সহিত শ্রদ্ধা করি। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, ভাষার চেতনাকে বুকে ধারণ করেছিলেন। তার চিন্তা-চেতনায় ছিল মাতৃভাষার মর্যাদা ও স্বীকৃতি বিধানের সংকল্প। বাঙালিদের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ চেতনা ছিল সর্বদা সক্রিয়। এ ব্যাপারে তিনি আমৃত্যু ছিলেন আপোসহীন, কঠোর। বাঙালি জাতি তার এই অনন্য সাধারণ ভূমিকার কথা কখনো ভুলবে না। একুশ আমাদেরকে যে শিক্ষা দিয়েছে সেই শিক্ষায় দীক্ষিত হয়ে আমাদেরকে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের সমূলে উৎপাটন করতে হবে। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম ও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম কখনই একুশের চেতনাকে ভুলে যাবে না এবং এই একুশের হাতিয়ার দিয়েই আমরা মৌলবাদীদের, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিদের, জঙ্গি গোষ্ঠীকে রুখে দেব।
Leave a Reply