বর্তমানে বহুল আলোচ্য বিষয় হল করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এমনকি বাংলাদেশেও এর ফলে আমরা প্রায় সকলেই রয়েছি স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে নিজের ও চারপাশের সকলের সুরক্ষার জন্যে।
তবে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে আমদের মাঝে প্রায় সকলেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে উঠছি। হয়তো অধিকাংশই ভেবে পাচ্ছি না কিভাবে চার দেয়ালের মাঝে সারাদিন কাটিয়ে দেয়া যায়।
তাই আজ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে এই তেজপাতাময় সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনকে আনন্দময় করে তোলা যায়।
*পরিবারের সাথে সময় কাটানো:কোয়ারেন্টাইন্টাইনে থাকা যেমন অসহনীয় ঠিক তেমনি এর কিছু ভালো দিকও রয়েছে।ব্যস্ততার কারণে আমাদের অনেকেরই পরিবারকে সময় দেয়া হয় না।তাই এখনই সুযোগ পরিবারের সদস্যদের যথেষ্ট সময় দেয়ার।
*বই পড়া:
শত ব্যস্ততার কারণে দেখা যায় আমাদের অনেকেরই বই পড়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না বা অনেক বই পড়ার ইচ্ছে ছিল তবে পড়া হয়ে ওঠেনি।এখনই সেসব বই পড়ার উপযুক্ত সময়।এমনকি যদি হাতের কাছে কোন বই না থাকে তবে অনলাইনে বা পিডিএফ ডাউনলোড করেও পড়ার সুযোগ রয়েছে।যদি কারও পড়ার প্রতি আগ্রহ কম থাকে সেক্ষেত্রে অডিও বইও শোনা যেতে পারে।
*সিনেমা দেখা:
সিনেমাপ্রেমীদের জন্যে সিনেমা দেখার সবচেয়ে উত্তম সময় এটি।আর যারা এখন পুরোই বিরক্ত তাদের জন্য সময় কাটাবার এটি একটি ভালো মাধ্যম।কেননা এতে আপনি আপনার পছন্দসই কেটাগোরির বা রুচির পরিবর্তন করার মাধ্যমে সহজেই আপনার অলস সময়কে আনন্দময় করে তুলতে পারবেন।আর্টফিল্ম,রোমান্টিক,অ্যাকশন,হরর,সায়েন্স ফিকশন আরও কত কি…
*ওয়েব সিরিজ দেখা: ওয়েব সিরিজ দেখা সময় কাটাবার আরও একটি অসাধারণ মাধ্যম।আপনার হয়তো কোন একটি ওয়েব সিরিজ দেখার ইচ্ছে ছিল তবে দেখা হয়ে ওঠেনি বা কোন একটা ওয়েব সিরিজ আপনার বন্ধু সাজেস্ট করেছিলেন ব্যস্ততার কারেণে দেখেন।তবে দেরি কিসের?আজই দেখা শুরু করেন না!
*বিভিন্ন ভিডিও দেখা:
নিজের পছন্দসই বিভিন্ন ভিডিও দেখেও আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার অলস সময়গুলো।এমনকি আপনি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন।যেমন:ইংরেজিতে কথা বলা,বিভিন্ন ভাষা শেখা,বাদ্যযন্ত্র শেখা ইত্যাদি।
*গেইমিং:
গেইমিং হলো সময় কাটাবার আরেকটি অসাধারণ মাধ্যম।আপনি অফলাইনে বা অনলাইনে গেইম খেলে আপনার সময় কাটাতে পারেন।আবার আপনি বন্ধুদের সাথেও অনলাইনে গেইম খেলতে পারেন।এতে আপনি খেলার পাশাপাশি আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডাও দিতে পারবেন।
*রান্না করা ও শেখা:
অনেকেই পরিবার থেকে অনেক দূরে থাকেন বা রান্না করতে পছন্দ করেন।তারা এসময়ে পরিবারের কাছ থেকে বা ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন নতুন নতুন রান্না।
*ব্যায়াম করা:
আমরা জানি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম কতটা গুরুত্বপুর্ণ।আমাদের মাঝে এখন অনেকেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত।তাদের মানিসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যায়াম হতে পারে একটি অসাধারণ মাধ্যম। পাশাপাশি আপনি এর মাধ্যমে শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নয়ন করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি ছবি আঁকা,গান শোনা,লেখালেখি,ব্লগ-সংবাদ পড়া ইত্যাদির মাধ্যমে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার সময়।
সবশেষে নিজের ও দেশের সকলের সুরক্ষার জন্য ঘরে থাকুন,সুস্থ্য থাকুন।
###
মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
Leave a Reply