মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলা ভাষাভাষীসহ বিশ্বের সকল ভাষা ও সংস্কৃতির জনগণকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউর, সালামসহ আরো অনেকে।
আজকের এই দিনে আমি ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সকল ভাষা সৈনিকের প্রতি।
১৯৪৮ সালে ছাত্র লীগ, তমুদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। ১১ই মার্চ ১৯৪৮ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সংগ্রাম পরিষদ ধর্মঘট ডাকে। এদিন সচিবালয়ের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধুসহ অনেক ছাত্রনেতা গ্রেফতার হন। ১৫ই মার্চ তাঁরা মুক্তি পান। ১৬ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
এই বছরের ১১ই সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৯ সালের ২১শে জানুয়ারি তিনি মুক্তি পান। ১৯শে এপ্রিল আবারো তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জুলাই মাসের শেষে তিনি মুক্তি পান। ১৪ই অক্টোবর ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেফতার করা হয়। কারাগার থেকেই তাঁর দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান হয়। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারী করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদরা।
মহান একুশে ফেব্রুয়ারির সেই রক্তস্নাত গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হয়। কানাডা প্রবাসী কয়েকজন বাঙালির উদ্যোগ ও প্রস্তাবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তায় ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর এই দিনকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আজ সারাবিশ্বের সকল নাগরিকের সত্য ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রেরণার উৎস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
অমর একুশে আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। একুশের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা কাজ করছি।
আসুন, সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নিই।
বার্তা প্রেরণ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদ্য সাবেক সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়ার্ড ওয়াইড ওয়েব পোয়েটস্ ক্লাব নিউইয়র্ক সিটির কো-অর্ডিনেটর ও ইন্টারন্যাশনাল অথোর ফোরাম নিউইয়র্ক সিটি কো-অর্ডিনেটর, বাংলাদেশ-ভারত সংস্কৃতি মৈত্রী ফ্রন্ট এর যুগ্ম মহাসচিব এবং বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাব ( USA) এর মহাসচিব, বিশিষ্ট নারী নেত্রী জেসমিন আক্তার
Leave a Reply