সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পৌর শহরের শ্রীকোলাতে অবস্থিত মেসার্স আর.এম.এস এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং এন্ড কনভারশন সেন্টারে অবৈধভাবে রিফিল করা হচ্ছে বাসা বাড়িতে রান্না করার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করা হয় মূলত বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে। তবে সেই গ্যাস উন্মুক্ত পদ্ধতিতে ভরা (ক্রস ফিলিং) হচ্ছে ফিলিং স্টেশনেই। অধিক মুনাফার আশায় মেসার্স আর.এম.এস এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং অ্যান্ড কনভারশন সেন্টার জড়িয়ে পড়ছেন অবৈধ এ ব্যবসায়। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে পারে।ফিলিং স্টেশনে ঝুঁকি নিয়ে সিলিন্ডারের বোতলে ভরে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে এসব বহনযোগ্য বোতলে ভর্তি করে এলপিজি গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছেন তারা।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়,রিফিল সংমিশ্রণ সঠিকভাবে না হলে গ্যাস সিলিন্ডারের নিচে বসে থাকে। নাড়াচাড়ার কারণে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বাজার থেকে একটি সিলিন্ডার কিনতে যে টাকা লাগে একটু রিস্কি হলেও তারপরে আমরা এখান থেকে অর্ধেক দামে মাঝেমধ্যেই সিলিন্ডারে রিফিল করে নিয়ে যাই।
একজন গ্যাস সিলিন্ডার কোম্পানির ডিলার জানান,এভাবে সিলিন্ডার ক্রস ফিলিংয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এতে যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তার পরও দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনক কারণে তাদের কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
বিস্ফোরক আইনে বলা আছে— ‘স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এলপিজি বিতরণ স্টেশন হতে মোটর যানে বা অন্য কোনো স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত জ্বালানি ধারণ পাত্র ব্যতীত অন্য কোনো বহনযোগ্য পাত্রে এলপিজি ভর্তি করা যাবে না’। আর এ আইন ব্যাহত হলে ২-৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেসার্স আর.এম.এস এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং অ্যান্ড কনভারশন সেন্টারের মালিক মোঃ রনির সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এই বিষয়ে কোন সৎ উত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এই এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply