ডেস্ক রিপোর্ট- করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশের অসহায় মানুষ আজ প্রায় কর্মহীন। একসময় কেউ ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন, কেউ বাসের চালক ছিলেন, কেউ মুচির কাজ করতেন। এখন অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। তেমনই ২০০০ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ।
সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। তাদের এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। দেশের ১৮ জেলায় এ সহায়তা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশের সমন্বয়কারী আহসান রনি বলেন, ‘আমরা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাসী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখব কিন্তু দায়বদ্ধতা থেকে পিছিয়ে আসতে চাই না। সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। তিনটি ধাপে চাঁদপুর, নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, ঝিনাইদহ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, ভোলা, সিলেট, জামালপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং রাজশাহীতে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার পরিবারের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক গড়ছি। কারণ, তারা তো আমাদেরই স্বজন। প্রতিটি পরিবারের জন্য এক–একটি ব্যাগে থাকছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা খাদ্যসামগ্রী। এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশের কাইন্ডনেস অ্যাম্বাসেডর বা স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আহসান রনি বলেন, চাঁদপুরের জুবায়ের মাহমুদ, নীলফামারীর মো. মহিবুল্লাহ আকাশ ও মো. মুনজুরুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউসার আহমেদ, শরীয়তপুরের ইমন হাসান, টাঙ্গাইলের শফিকুল ইসলাম শিহাব, নওগাঁর মামুনুর রেজা, সিরাজগঞ্জের তানভির আনজুম তুষার, পাবনার মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহের ইমামুল ইসলাম, নাটোরের হাসান আলী ও আশিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার রাজু আহমেদ, হবিগঞ্জের কে এম শাহ আলম, ভোলার মো. শাহ পরান জয়, সিলেটের রনি পাল, জামালপুরের আল আমিন, রংপুরের রব প্রধান, কুড়িগ্রামের মাহামুদুর হাসান, রাজশাহীর মো. রিমন চৌধুরীর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল গ্রামে, গঞ্জে, প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের সম্পর্কের উপহার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন।
কেন্দ্র থেকে পুরো কর্মসূচি আহসান রনির সঙ্গে সহসমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন শাদমান সাকিব অনিক। এর আগে বিভিন্ন জেলার মানুষকে মাইকিং, লিফলেট এবং পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে। তা ছাড়া সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ৩ ফুট দূরত্বে জীবাণুনাশক স্প্রে ও দাগ এঁকে দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply