জাবি প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) দেশব্যাপী ব্যাপক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনার বিপরীতে অপ্রতুল টেস্টের সংখ্যায় ছাত্র ইউনিয়ন আশাহত এবং শঙ্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টেস্টের গুরুত্বের কথা বারবার বলা হলেও দেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হবার ৫ সপ্তাহ পরেও আইইডিসিআর’এর তথ্যমতে ১৮ কোটির বেশি জনসংখ্যার একটি দেশে টেস্ট করা হয়েছে সর্বসাকুল্যে মাত্র ১০ হাজারের কাছাকাছি! অথচ প্রতিদিনই জ্বর-সর্দি-কাশিসহ করোনার উপসর্গে মারা যাচ্ছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে জনগণের টাকায় পরিচালিত সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায় আছে বিপদগ্রস্থ গণমানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
আয়তনে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণাগার ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারে আমাদের জানামতে প্রস্তুত রয়েছে করোনা টেস্ট পরিচালনা করার জন্য দরকারি রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েই আছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বল্পসময়ে ও অল্প খরচে টেস্ট কীট উদ্ভাবনের নায়কদের একজন। এই পরিস্থিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজী, ফার্মাসি, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজী, পাবলিক হেলথ, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর যন্ত্রপাতি এবং বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করে ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাগারে করোনা টেস্ট সেন্টার চালু করার আহ্বান জানাচ্ছে ছাত্র ইউনিয়ন।
ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, প্রয়োজনে আশপাশের মেডিকেল কলেজগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন করে আগাতে পারে এই কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের সকল জনসাধারণসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে এই টেস্ট সেন্টারটি। ল্যাবের বায়ো সেফটি লেভেল বাড়িয়ে তাতে কভিড ১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজেও নিয়োজিত হতে পারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ জাতির এই দুর্দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন ও সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে অনুমোদন, প্রয়োজনীয় কীট ও সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টেস্ট সেন্টার চালু করবার আহ্বান জানাচ্ছে।
বার্তা প্রেরক
ইমতিয়াজ অর্ণব
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
Leave a Reply