অমৃত চন্দ্র দাস, নেত্রকোনাঃ নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীতে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। করোনার কারণে ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেবে এমনটাই ভাবছিলেন সংশ্লিষ্টরা। আর ধান কাটা পিছিয়ে গেলে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ার শঙ্কাও ছিল। তবে এসব সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে সময়মতো ধান কাটতে পারছেন কৃষকরা।
কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটার মেশিনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে খালিয়াজুরী হাওরের ধান কাটা। ১৫ এপ্রিল(বোধবার) খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি অফিস অফিসার মো: হাবিবুর রহমান জানান ,এবার খালিয়াজুরী হাওর এলাকায় ৯ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদন ৭৯ হাজার ৯৫০ মেট্রিকটন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও বাম্পার ফলনের ফলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। গার্মেন্টস ফেরত কর্মী ও অটোরিক্সার শ্রমিকরা ধান কাটায় অংশ নিচ্ছে ফলে শ্রমিক সঙ্কট নেই। পাশাপশি ধান কাটার মেশিন তো রয়েছেই। উপজেলার কৃষি অফিস এর সহযোগীতায় কৃষকের ভর্তূকি হিসেবে চারটি কম্বাইন হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে কৃষক দের মাঝে। এবং অন্য উপজেলা থেকে ভাড়ায় আরো পনেরোটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃষকরা কোনো প্রকার অভিযোগ করেনি আমাদের কৃষি অফিসে, আমরা আসা করছি আমাদের কৃষক ভাইয়েরা আগাম বন্যা হওয়ার আগের কৃষকের সোনালী ধান ঘরে তুলতে পারবে।
খালিয়াজুরী সদরের কৃষক মোঃ কাচু মিয়া বলেন, আমরা আসা করছিলাম করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটে পরতে হবে, কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এবং শহর থেকে প্রামে আসা ভাইদের জন্য, আমাদের শ্রমিক সংকটে পারতে হয়নি। বরং আমরা এখন কম মূল্যে ধান কাটাতে পারছি সরকারের প্রযুক্তি ব্যবহারে কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটার মেশিনের মাধ্যমে। আপাতত শ্রমিক সংকট নেই তবে বৃষ্টি হলে এই ধান কাঁটার মেশিন গুলো আমাদের জমি কাঁটাতে পারবেনা।
খালিয়াজুরী উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষি শ্রমিকদের বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষক আসতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে অংশ সকল স্থানে যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত ধান কাটার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
খালিয়াজুরীর হাওরপাড়ে থাকা ২৫ হাজার ২২২ জনের বেশি কৃষক বোরো ধানের আবাদ করেই পরিবার নিয়ে জীবিকা চালে।
Leave a Reply