সুজন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণী ধর্ষণের মামলায় মিনহাজুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের দক্ষিণ বোচাপুকুর গ্রাম থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম ।
গ্রেপ্তারকৃত যুবক মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনু (৩০) বোচাপুকুর গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ওই তরুণী (১৯) নিজেই বাদী হয়ে আসামী মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনুর নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে পঞ্চগড় বাসস্ট্যান্ডে মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনুর সাথে দেখা হয় ওই তরুণীর। এসময় মিনহাজুল ওই তরুণীকে তার মুঠোফোনের নম্বর দেন। প্রায়সময় মুঠোফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে মিনহাজুলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন অবস্থায় তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকার ধর্ষণ করে ওই যুবক। এর ফলে ওই কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর থেকে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে টালবাহান শুরু করে মিনহাজুল ইসলাম।
ওসি বলেন, গত ২২ এপ্রিল মুঠোফোনের মাধ্যমে তরুণীকে ঠাকুরগাঁও বড়মাঠে ডেকে নেন গ্রেপ্তারকৃত যুবক মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনু। এসময় ওই তরুণীকে বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যুবক। এতে রাজি ছিলেন না তরুণী। পরে তরুণীকে বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ খাওয়ায় মিনহাজুল। এরপর ওই তরুণী তার বাড়িতে চলে আসে।
প্রচন্ড পেটের ব্যাথা নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ওই তরুণীকে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। এরপর ২৩ এপ্রিল ওই তরুণীর পেটে থাকা ৫ মাসের ভ্রুন (বাচ্চা) নষ্ট হয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিজ্ঞ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন এবং জবানবন্দিতে ওই যুবক তার দোষ স্বীকার করেছেন। পরে আদালত তাকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে প্রেরন করেন।
Leave a Reply