কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিপিইর পরিচিতি ও ব্যবহার বেড়েছে । এখন শুধু চিকিৎসকই নন, পুলিশ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে শুরু করে অনেক সচেতন মহলই পিপিই ব্যবহার করছে। কিন্তু নিন্মমানের এসব পিপিই সম্পর্কে তারা মোটেও অবগত নন।
এদিকে, দামে সস্তা হওয়ায় কাপাসিয়ার সাধারণ মানুষের ক্রয় চাহিদা বাড়ছে এসব পিপিইর। পাওয়া যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলিক হাট-বাজারেও। বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন উপজেলাবাসী।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মারুফ হক খান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পিপিই’র জন্য সুনির্দিষ্ট মান ও ব্যবহারবিধি রয়েছে। ব্যবহার শেষে যথাযথ নিয়মে তা বিনষ্ট করতে হবে। নিম্নমানের পিপিই দিয়ে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, বরং নিম্নমানের পিপিই’র যত্রতত্র ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের রাসেল হোসেন মাস্ক কিনছেন। দাম নিয়েছে ২৫ টাকা। কেন কিনেছেন জনতে চাইলে বলেন, মাস্ক পড়লে করোনা ভাইরাস হয় না। দেখেন না সবাই পড়ছে। মুখে মাস্ক না থাকলে পুলিশও মারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সমগ্র উপজেলায় লকডাউন চলছে। সেই সঙ্গে সকল হাট-বাজার ও দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। হাট-বাজারে ভিড় জমালে পুলিশের দৌড়ানি খেতে হয়।
Leave a Reply