স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ পাওয়া নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে নতুন করে একজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে। শনিবার (২৫ এপ্রিল) পাঠানো ১৪৯ জনের নমুনার মধ্যে ৪টি নমুনা ইনভেলিড হয়ে যায়। বাকি ১৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে পাওয়া যায়। এতে এই একজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়েছে।
আগের দিন সোমবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৭৬ জন করোনা শনাক্ত ছিল। ফলে নতুন করে আরো একজন শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে কিশোরগঞ্জ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
তবে এর বাইরে আগে আরো তিনজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ অন্যত্র শনাক্ত হয়েছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন হোসেনপুর উপজেলা ও বাকি দুইজন তাড়াইল উপজেলার।
এই তিনজন নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৮০ জন।
এদিকে জেলায় তিনজন করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ভৈরব থানার এসআই মো. চাঁন মিয়া।
রাজধানী ঢাকার উত্তরাস্থ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ১০ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা এসআই চাঁন মিয়া ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে এসআই চাঁন মিয়া করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছেন।
এর আগে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়েছিলেন ইটনা সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশীদ। গত শনিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান।
এরপর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়ে সোমবার (২৭ এপ্রিল) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান ডা. আরিফ আহমেদ জনি নামের একজন চিকিৎসক। তিনি করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হওয়া ১৭৭ জনের মধ্যে এক শিশুসহ তিনজন মারা যাওয়া ব্যক্তি রয়েছে। তিনজনেরই মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।
মারা যাওয়া তিনজন হলো, করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০) এবং হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৪টি নমুনা ইনভেলিড হয়ে যায়।
বাকি ১৪৫টি নমুনার মধ্যে একজনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এবং বাকি ১৪৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া একমাত্র ব্যক্তি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার। তিনি একজন মহিলা। তিনি নিকলী উপজেলার স্বামীর বাড়ি থেকে অসুস্থ হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদলে বাবার বাড়িতে এসে করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ১৭৬ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছিল। নতুন করে একজন শনাক্ত হওয়ার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭ জনে।
উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৩ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ২৪ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৪ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১২ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪৩ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৬ জন, ইটনা উপজেলায় ১১ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে এর বাইরে হোসেনপুর উপজেলার একজন ও তাড়াইল উপজেলার দুইজনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ অন্যত্র শনাক্ত হয়েছে।
Leave a Reply