মামুন কৌশিক নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি :
নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের হরিয়াতলা গ্রামের মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বশর্মা (৩৫) কে পূর্বের জমি সংক্রান্ত বিরোধিতা থেকে ১/ হাবিব মিয়া (৫০) ২/ মো: মতি মিয়া (৩৫) ৩/ মো: বারকে মিয়া (৪০) ও ৪/ মো: সজিব মিয়া (২০) খুন করার লক্ষ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক জখম করেছে গত ৩/৫/২০২০ তারিখে।
আহত মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বশর্মা ও বারহাট্টা থানায় তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মঙ্গল চন্দ্র বিশ্বশর্মার বাবা মৃত্যুর পূর্বে ১৭ শতাংশ জমি হরিয়াতলা মাদ্রাসায় বিক্রি করে যান।কিন্তুু সেই জমি ভুলবশত ১ নং আসামী হাবিব মিয়ার বাবা হেকমত আলীর নামে রেকর্ড হয়ে যায়।তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ হেকমত আলীর নামে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে।সেই জমির মামলায় ১ নং সাক্ষী হিসেবে আমি জবানবন্ধী দেওয়ায় হাবিব মিয়ার দলের লোকজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ৩/৫/২০২০ তারিখে সকাল সাতটার সময় আমি হারুলিয়া বাজারের উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হলে ১/ হাবিব মিয়া ২/মো: মতি মিয়া ৩/ মো: বারেক মিয়া ৪/ ও মো: সজিব মিয়া আমার উপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালায়।তখন হাবিব মিয়া ধারালো দা দিয়ে আমার নাকে কুপ মেরে জখম করে ফেলে।আমি মাটিতে পরে গেলে ২ নং আসামীর হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে আমার দুই পায়ে কুপিয়ে মারাত্বক জগম করে।এরপরে ৩ নং ও ৪ নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আমাকে মারতে থাকে।তখন আমার চিৎকারে এবং সেখানে উপস্থিত আমার স্বাক্ষীদের ১/ গরুচন্দ্র বিশ্বসর্মা (৫৫) ২/ ময়না বিশ্বসর্মা (২৫) ৩/জুয়েল বেপারী (৩৫) ৪/ মো: মিস্টার(২৪) চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে।তখন তারা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমাকে নিয়ে যায়।আমার অবস্থা খারাপ হওয়ায় বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।আমার পরিবারের লোকজনের আমাকে নিয়ে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আমার থানায় অভিযোগ দিতে দেরী হয়েছে।আমি আমার উপর প্রাণঘাতী হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার অফিসার ইন চার্জ মিজানুর রহমান বলেন যে, গত ৩/৫/২০২০ তারিখ এ এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।রোগী ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি আছে।যেহেতু আজকে তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এখন আমরা আসামীদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতার করার চেষ্টা করব।
Leave a Reply